অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রমবর্ধমান দামের উপর লাগাম কেন্দ্র শনিবার ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে এই সম্ভবনার মধ্যেই রপ্তানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। অক্টোবরে নতুন ফসল না আসা পর্যন্ত দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে গত সপ্তাহে সরকার নির্দিষ্ট অঞ্চলে তার বাফার স্টক থেকে অবিলম্বে পেঁয়াজ ছাড়ার ঘোষণা করেছে।
বাজারে টমেটোর দামে এখনও সর্ষেফুল দেখার অবস্থা। তার উপর পেঁয়াজের জোগান ও চাহিদার তারতম্য বুঝে আগে ভাগে ৪০ শতাংশ বহিঃশুল্ক চাপিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এ বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। মনে করা হচ্ছে, চাহিদা ও জোগানের এই ফারাকের কারণে সেপ্টেম্বর মাস থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করতে পারে। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে পারে পেঁয়াজ। তবে ক্রিসিলের ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, পেঁয়াজের দাম বাড়লেও ২০২০ সালে যে পরিস্থিতি হয়েছিল, ততটাও আশঙ্কা নেই।
২০২০ সালের নভেম্বর মাস নাগাদ পেঁয়াজের দাম দেশের কোথাও কোথাও কেজি প্রতি ১২০ টাকা বা তার বেশি হয়ে গিয়েছিল। ক্রিসিলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদনের ব্যাপারে তারা যে গ্রাউন্ড রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত পেয়েছে, তা ২০২০ সালের মতো না হলেও উদ্বেগের কারণ রয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে খুচরো বাজারে তা টের পাওয়া যাবে।
ঘটনা হল, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগড়, তেলঙ্গনায় ভোট রয়েছে। তার আগে পেঁয়াজের দাম চোখে জল এনে দিলে শাসক দলের পক্ষে মুশকিল রয়েছে। এমনিতেই টমেটোর দামে এখনও ছ্যাঁকা লাগছে। তা ছাড়া উত্তর ভারতে এবার ভাল বৃষ্টি হলেও দেশের সর্বত্র বর্ষা তেমন ভাবে আসেনি। অগস্ট মাসে বৃষ্টিতে ঘাটতি রয়েছে। ফলে পুজোর পর জিনিসের দাম আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
সরকার এদিন পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ বহিঃশুল্ক চাপিয়েছে। যার অর্থ হল, পেঁয়াজ রফতানি করতে গেলে ৪০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। অর্থাৎ পেঁয়াজ রফতানি কমাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।