বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে মহাজোটের দ্বিতীয় দিনের বৈঠক নিয়ে মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেঙ্গালুরুতের হোটেলে ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিন হাজির ছিলেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়গে সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, শরদ পওয়ারের মতো বিরোধী নেতারা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। ইউনাইটেড উই স্ট্যান্ড-এর ব্যানারে বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় বৈঠক।
বৈঠক শেষে মমতা বলেছেন, "বৈঠক ভাল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। এর ফল দেশের জন্য কল্যাণকর হবে।"
This meeting is good and fruitful. Its outcome will be beneficial for this country.
— Congress (@INCIndia) July 18, 2023
: CM of West Bengal @MamataOfficial ji pic.twitter.com/mnPXnbbo81
দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের দাবি, কংগ্রেস ক্ষমতা বা প্রধানমন্ত্রী পদে আগ্রহী নয়। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ২৬টি বিরোধী দলের নেতারা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে এখানে একত্রিত হয়েছেন। প্রধান বিরোধী দলের বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, "এই বৈঠকে আমাদের উদ্দেশ্য নিজেদের জন্য ক্ষমতা লাভ করা নয়, এটি আমাদের সংবিধান, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার রক্ষা করা"। তিনি রাজ্য স্তরে বিরোধী দলগুলির মধ্যে পার্থক্য স্বীকার করেছেন তবে উল্লেখ করেছেন যে এগুলি আদর্শ নয়।
সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি জানান, এই বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা ভারতকে বাঁচাতে চাই, কারণ আমরা জানি ভারত কী। দেশটি বহুমাত্রায় হামলার মধ্যে রয়েছে। দেশের উন্নতির জন্য পরিবর্তন করতে হলে বাঁচাতে হবে!
This meeting is important because we want to save India, as we know what India is.
The country is under tremendous multi-dimensional assault.
The country has to be saved in order to change for the better!
: @SitaramYechury ji, General Secretary, CPI(M) pic.twitter.com/joErVkfeJR— Congress (@INCIndia) July 18, 2023Advertisement
সোমবারই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির আলোচনা শুরু হয়েছে। সনিয়া গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলগুলির বৈঠকের প্রথম পৌঁছন। বৈঠকের আগে সভাস্থলে মূল হলের মাঝখানে দাঁড়িয়ে সনিয়া ও মমতার মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট কথা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন পাটনায় বিরোধী ঐক্যের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠক ডাকেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এতে ১৭টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। জনতা দল ইউনাইটেড, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, আম আদমি পার্টি, দ্রাবিড় মুনেত্র কাঝাগম, তৃণমূল কংগ্রেস, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, সিপিআইএম, সিপিআইএমএল, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরের দল), এসপি, জেএমএম এবং এনসিপি যোগদান করেছিল।