দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই বৈঠকে করোনার মোকাবিলার প্রস্তুতি, টিকাকরণ এবং কোভিড ১৯-র নতুন উপপ্রজাতি এবং তার প্রভাব আলোচনা চলে। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে চলা এই বৈঠকে সাধারণ মানুষকে আবারও করোনা সতর্কতা মেনে চলার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কোভিড বিধি মেনে চলার পাশাপাশি মাস্ক পরার অনুরোধও করেন। পাশাপাশি জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং কোভিড নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর উপরেও জোর দিয়েছেন মোদী।
কোভিড এ দেশে এখনও মাথাচাড়া দেয়নি। তবে হেলাফেলা করলে চলবে না। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। কঠোর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আরও কড়াকড়ি করতে হবে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, কোভিড এখনও শেষ হয়নি।
সেই সঙ্গে বুস্টার টিকাকরণ বাড়ানোর উপরেও জোর দিয়েছেন মোদী। মাত্র ২৭ থেকে ২৮ শতাংশ দেশবাসী সতর্কতামূলক তৃতীয় টিকা নিয়েছেন। তাই বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের শীঘ্র বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মোদী। প্রথম সারির কর্মী ও করোনা যোদ্ধাদের নিঃস্বার্থ সেবারও প্রশংসাও করেছেন।
সব স্তরে যথাযথ কোভিড পরিকাঠামো এবং কর্মী রাখার উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অক্সিজেন সিলিন্ডার, পিএসএ প্ল্যান্ট, ভেন্টিলেটর এবং পর্যাপ্ত কর্মী সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্যগুলিকে। আধিকারিকদের জিনোম সিকোয়েন্সিং গতি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। উৎসবের আনন্দে কোভিডবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে করোনার সংক্রমণ ক্রমাগত নীচের দিকে। ২২ ডিসেম্বর দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৩-এ নেমে এসেছে। সাপ্তাহিক পজিটিভিটির হার ০.১৪%। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন গড়ে ৫.৯ লাখ করোনা সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে।
আরও পড়ুন- রাজ্যে চালু হচ্ছে কোভিড বিধিনিষেধ? যা বললেন মমতা