১৮৫৭-র সিপাহী বিদ্রোহ, ১৮৯৩-র স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো ভাষণের সঙ্গে ২০২৫-এর কুম্ভমেলার তুলনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার লোকসভায় মহাকুম্ভের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে এমনটাই বললেন তিনি। মহাকুম্ভ মেলা দেশের 'চেতনা জাগরণের প্রতিচ্ছবি' বলেও উল্লেখ করেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন আমাদের দেশের ইতিহাসেও এমন কিছু কালক্ষণ তৈরি হয়েছে, যা সমগ্র জাতিকে এক নয়া পথের দিশা দেখিয়েছে, দেশকে এক সূত্রে বেঁধে জাগ্রত করে তুলেছে। ঠিক যেমন ভক্তি আন্দোলনের সময় দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক চেতনার উদয় হয়েছিল।
এরপরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'স্বামী বিবেকানন্দ আজ থেকে ১০০ বছর আগে শিকাগোতে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা ভারতের আধ্যাত্মিক চেতনার জয়ধ্বনি ছিল। এটি ভারতীয়দের আত্মসম্মানের বোধটা জাগিয়ে দিয়েছিল।'
#WATCH | Delhi | Prime Minister Narendra Modi says, "I stand here to speak on Prayagraj's Maha Kumbh. I congratulate crores of countrymen because of whom the Maha Kumbh could be organised successfully. Many people contributed to the success of the Maha Kumbh... I thank the people… pic.twitter.com/YJIuMyZpJw
— ANI (@ANI) March 18, 2025
এরপর স্বাধীনতা সংগ্রামের কথাও উল্লেখ করেন মোদী। বলেন, 'স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়েও এমন সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা গিয়েছি। সেটা ১৮৫৭-র সংগ্রাম হোক, বীর ভগৎ সিংয়ের সাহসিকতাই হোক, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দিল্লি চলো ডাকই হোক, গান্ধিজির ডান্ডি যাত্রাই হোক... এমনই নানা সময়ে আমরা অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আর তাই দিয়েই ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমি প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভকেও এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ কালক্ষণ বলে মনে করি। মহাকুম্ভে দেশবাসীর চেতনা সঞ্চারের প্রতিচ্ছবিটাই সুস্পষ্ট হয়ে উঠে এসেছে।'
এদিন মহাকুম্ভ নিয়ে লোকসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে মহাকুম্ভে সমগ্র দেশের একত্ব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিবিধের মাঝে মিলনের বার্তা উঠে এসে এই মহাকুম্ভ থেকে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য শেষে টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান বিজেপি সাংসদরা।
অন্যদিকে মহাকুম্ভ মেলায় মৃত্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের দাবিতে সরব হন বিরোধী সাংসদরা। রাহুল গান্ধী বলেন, 'কুম্ভে নিহতদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা জানাননি'।