scorecardresearch
 

Siliguri-Dhaka Flight: ২০২৩-এই শিলিগুড়ি-ঢাকা বিমান চালু? বড় ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

Siliguri-Dhaka Flight: সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ এই শিলিগুড়ি-ঢাকা বিমান চলবে। ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। আপাতত শিলিগুড়ি থেকে ঢাকা ট্রেন ও বাস চালু থাকলেও সরাসরি বিমান নেই। বিমানে ঢাকা যেতে হলে কলকাতা হয়ে যেতে হয়। সময় ও খরচ দুইই বেশি হয়।

Advertisement
২০২৩-এই শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি ঢাকা বিমান চালু হতে পারে, ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ২০২৩-এই শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি ঢাকা বিমান চালু হতে পারে, ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
হাইলাইটস
  • শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি ঢাকা বিমান
  • ২০২৩-এই চালু হতে পারে এই বিমান
  • ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রীর

Siliguri-Dhaka Flight: দ্রুত শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ঢাকা বিমান চালু হতে পারে। এমন সম্ভাবনার কথা উসকে দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ক্রস বর্ডার ও রিলিজিয়াস ট্যুরিজমের প্রাধান্য দিচ্ছে কেন্দ্র। যার জন্য শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ এই শিলিগুড়ি-ঢাকা বিমান চলবে।

আরও পড়ুনঃ দার্জিলিং-কালিম্পং নয়, গরমের ছুটিতে চলুন উত্তরবঙ্গের এই ৫ টি 'কুল' ডেস্টিনেশনে

স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনের কারণে এই শহর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রে। সেই কারণে এই বিমানবন্দরকে সম্পূর্ণরূপে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে যাতে কাজ করতে পারে সেই বন্দোবস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে শুধুমাত্র বিদেশ বলতে ভুটান এবং নেপালে বাগডোগরা থেকে সরাসরি বিমান যায়। বাংলাদেশ কিংবা অন্য দেশে পৌঁছতে গেলে কলকাতা বা দিল্লি ঘুরে যেতে হয়। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত। ঢাকাও এখান থেকে কলকাতার চেয়ে কাছে। তাই যদি ঢাকায় যেতে হয় তাহলে কলকাতা ঘুরে দ্বিগুণ সময় অর্থ খরচ করে ঢাকায় পৌঁছাতে হচ্ছে। অথচ শিলিগুড়ি থেকে ঢাকা যাওয়ার লোকের অভাব নেই। ইতিমধ্যে ট্রেন চালু হয়েছে। তাতে মোটামুটি হাউসফুলই থাকে। তবে বিমান চালু হলে কম সময়ের মধ্যে ঢাকা পৌঁছাতে পারবেন অনেকেই।

রবিবার কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রীর কাছে বিজেপির স্থানীয় তিন বিধায়কের প্রতিনিধি দল এই দাবি তুলে ধরেছেন। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন এবং দুর্গা মুর্মু গিয়ে তাঁদের দাবি পেশ করেছেন। ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একটি প্রতিনিধিদল একাধিক দাবি পর্যটনমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। উত্তরবঙ্গ, বিশেষ করে এই জোনের পর্যটনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে একাধিক দাবি পেশ করা হয়েছে। বিমান চালু হলে তা অত্যন্ত কার্যকর এবং ফলপ্রসু হবে। এলাকার অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে বলে তিনি মনে করছেন তিনি।

Advertisement

আপাতত যে দুটি দেশে বাগডোগরা থেকে বিমান চলে, তাদের জন্য কোনও রকম পাসপোর্ট ভিসার দরকার হয় না। তাই তেমন কোনও সমস্যা নেই। তবে বাংলাদেশে বিমান চালু হলে বাগডোগরায় আলাদা ইমিগ্রেশন সেন্টার ও বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে। এই সমস্ত কিছু চালু হয়ে গেলে পরবর্তীতে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও বিমান চালু করার প্রক্রিয়াতেও সুবিধা হবে। তবে সব মিলিয়ে সঠিক পরিকল্পনা করে করতে হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে। আপাতত বাংলাদেশেই, নেপাল-ভুটানের বাইরে প্রথম প্রকৃত আন্তর্জাতিক বিমান উড়ানের চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। সব ঠিকঠাক থাকলে বছরখানেকের মধ্যেই উড়ান চালু হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Advertisement