Prashant Kishor On INDIA Alliance: বাংলায় নীতীশ, মমতা বিহারে কী করবেন? বিরোধী জোট নিয়ে প্রশ্ন প্রশান্তের

একটা ন্যারেটিভের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনও ইস্যু হোক, মাটিতে কাজ করতে পারে এমন কর্মীও থাকা দরকার। সবটা মিলিয়েই জনতার ভাবনা ভোটে প্রতিফলিত হবে।' মত প্রশান্ত কিশোরের।

Advertisement
বাংলায় নীতীশ, মমতা বিহারে কী করবেন? বিরোধী জোট নিয়ে প্রশ্ন প্রশান্তেরবিরোধী জোট নিয়ে কী বললেন প্রশান্ত?
হাইলাইটস
  • বিরোধী জোট নিয়ে নিজের মত দিলেন প্রশান্ত কিশোর।
  • কর্মসূচি থাকা দরকার বলে মনে করেন ভোটকৌশলী।

বেঙ্গালুরুর বৈঠকে ঠিক হয়ে গিয়েছে বিরোধী জোটের নাম। এনডিএ-কে হারানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কতটা সফল হবে বিরোধীদের জোট? জনসূরজ পার্টির নেতা তথা ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, নেতারা এক সঙ্গে বৈঠক করলে জনমানসে তার প্রভাব পড়বে না। বিরোধী দলগুলির মধ্যে মানসিকভাবে মিল থাকলেই প্রভাব পড়বে। তাঁর মতে,'একটা ন্যারেটিভের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনও ইস্যু হোক, মাটিতে কাজ করতে পারে এমন কর্মীও থাকা দরকার। সবটা মিলিয়েই জনতার ভাবনা ভোটে প্রতিফলিত হবে।'

১৯৭৭ সালের ইন্দিরা ও ২০২৪ সালের মোদী, আলাদা প্রেক্ষাপট

১৯৭৭ সালে জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল বিরোধী দলগুলি। সরকারে আসে তারা। নবান্নে নীতীশ কুমারকে পাশে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়প্রকাশের আন্দোলনের কথাই তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৭ সাল ও ২০২৪ সালের প্রেক্ষাপট এক নয় বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর কথায়,'অনেকেই মনে করেন যে ১৯৭৭ সালে সব বিরোধী দল একত্রিত হয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে পরাজিত করেছিল, এটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় বোকামি। ১৯৭৭ সালে বিরোধী দলগুলির একজোট হওয়ার কারণে ইন্দিরা গান্ধী হারেননি, সেই সময়ে জরুরি অবস্থা ছিল একটি বড় ইস্যু। সেইস সঙ্গে জেপি-র আন্দোলনের কথাও ভুললে হবে না। জরুরি অবস্থা জারি না হলে, জেপি আন্দোলন না হলে, সব দল এক হলেও ইন্দিরা গান্ধী হারতেন না। এমনকি ১৯৮৯ সালেও আমরা দেখেছি যে বোফর্স ইস্যুতে রাজীব গান্ধীর সরকারকে সরিয়ে ভিপি সিং ক্ষমতায় এসেছিলেন। বিরোধী দলগুলি জোট বাঁধার আগেই বোফর্স ইস্যু নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। বোফর্সের নামে দেশে আন্দোলন হয়েছে, তার সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িত ছিল।'

নীতীশ বাংলায়, মমতা বিহারে কি প্রভাব ফেলতে পারবেন?

বিরোধী জোট বাস্তবের জমিতে কতটা সাফল্য লাভ করবে, সে নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। তার উদাহরণও দিয়েছেন প্রশান্ত। তিনি বলেন,'ধরুন নীতীশ কুমার কলকাতায় গেলেন, সেখানকার মানুষ ও তাঁদের অনুভূতিতে কী প্রভাব পড়বে! আজ যদি সমস্তিপুরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা স্টালিন ভাষণ দেন, তাহলে এখানকার মানুষের কাছে কোনও গুরুত্ব পাবে কী? বিরোধী ঐক্য গণতন্ত্রের একটি প্রক্রিয়া। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী হতে হবে। কিন্তু, আমার মতে,নির্বাচনী সাফল্য তখনই পাওয়া যাবে, যখন এই দলগুলির একটি নির্দিষ্ট কর্মসূচি থাকবে যা তারা মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারবে। তখনই জনসমর্থন  বাড়ে। তা প্রতিফলিত হবে নির্বাচনের ফলে।'

Advertisement

২০১৯ সালে নীতীশের জায়গায় ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগেও এমন একটা চেষ্টা হয়েছিল বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রশান্ত। সেই সময় বিরোধীদের সলতে পাকানোর কারিগর ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু।  প্রশান্ত বলেন,'আজ নীতীশ যে ভূমিকায় ২০১৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুও একই ভূমিকায় ছিলেন। তিনি ভোটে ধরাশায়ী হয়েছিলেন।' 

তিনি আরও বলেন,'২০১৯ সালে সব দল একত্রিত হয়েছিল, তবুও কোনও প্রভাব পড়েনি। নীতীশ কুমারের ভূমিকায় সেই সময় ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। দেশের কথা ছাড়ুন, চন্দ্রবাবু নাইডু অন্ধ্রপ্রদেশেই শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। তাই নীতীশ কুমার হোন বা বিরোধীদের একত্রিত করার চেষ্টা করা যে কেউই হোন না কেন, সাধারণ মানুষের ইস্যু তুলে না ধরলে কোনও চেষ্টাই প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি না।তবে এটা ঠিক যে এতগুলি দল একত্রিত হলে সংবাদমাধ্যমের জন্য আলোচনার বিষয় হতে পারে। সমাজের একটি অংশ যারা সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে সচেতন তাদের জন্য হতে পারে কৌতূহলের বিষয়।'

বিরোধী জোটের নেপথ্যে কি তিনি আছেন? প্রশান্তের দাবি, দেশে কী রাজনীতি হচ্ছে, বিরোধীরা কী করছে, বিজেপি কী বলছে, সে সব নিয়ে আমি ভাবছি না। আপনারা যেমন সাধারণ মানুষের কথা শুনছেন,আমিও শুনছি।

POST A COMMENT
Advertisement