ASI on Qutub Minar:'কুতুব মিনার একটি স্মারক, কোনও ধর্মের নয়,' আদালতে হলফনামা ASI-এর

ASI on Qutub Minar: কুতুব মিনারে পুজোর দাবিতে হিন্দু পক্ষের আবেদনের বিরোধিতা করল ASI। এএসআই সাকেত আদালতে দাখিল করা তার জবাবে বলেছেন যে কুতুব মিনারের পরিচয় পরিবর্তন করা যাবে না।

Advertisement
'কুতুব মিনার একটি স্মারক, কোনও ধর্মের নয়'পিটিশনারের দাবি- কুতুব মিনারে ২৭টি মন্দিরের অবশেষাংশ পাওয়া গিয়েছে
হাইলাইটস
  • কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে পুজোর দাবি উঠল
  • বিষয়টি নিয়ে সাকেত আদালতে মামলা
  • পিটিশনারের দাবি- কুতুব মিনারে ২৭টি মন্দিরের অবশেষাংশ পাওয়া গিয়েছে

আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) কুতুব মিনারে পুজোর দাবিতে হিন্দু পক্ষের দায়ের করা আবেদনের বিরোধিতা করেছে। এএসআই সাকেত আদালতে দাখিল করা তার জবাবে বলেছেন যে কুতুব মিনারের পরিচয় পরিবর্তন করা যাবে না।

আসলে, কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের ভিতরে হিন্দু ও জৈন দেবতাদের পুজো এবং পুনরুদ্ধারের অধিকার চেয়ে দিল্লির সাকেত আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে হিন্দু দেবদেবীর অনেক মূর্তি রয়েছে।

পুজোর অধিকার দেওয়া যাবে না-এএসআই 
একইসঙ্গে এই আবেদনে সাকেত আদালতে জবাব দাখিল করেছেন এএসআই। এএসআই বলেছে, কুতুব মিনার ১৯১৪ সাল থেকে সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভের মর্যাদা পেয়েছে।  কুতুব মিনারের পরিচয় পরিবর্তন করা যাবে না। কিংবা এখন স্মৃতিসৌধে পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। আসলে সংরক্ষিত হওয়ার পর থেকে এখানে আর কোনো পুজো হয়নি।

এএসআই আরও বলছে, হিন্দু পক্ষের আবেদন আইনত বৈধ নয়। এছাড়াও, পুরানো মন্দির ভেঙ্গে কুতুব মিনার কমপ্লেক্স নির্মাণ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই মুহূর্তে কুতুব মিনারে পুজো  করার অধিকার কারো নেই। কুতুব মিনারকে সংরক্ষণে নেওয়ার পর থেকে এখানে কোনো পুজো করা হয়নি, তাই এখানে পুজো করা যাবে না।

 

 

'প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের এই স্মৃতিস্তম্ভ' 
ASI বলেছে যে এটি প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের একটি স্মৃতিস্তম্ভ। তাই এখানে কাউকে পুজো করতে দেওয়া যাবে না। প্রত্নতাত্ত্বিক সুরক্ষা আইন ১৯৫৮  অনুসারে, সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভে শুধুমাত্র পর্যটনের অনুমতি রয়েছে। কোন ধর্মের পুজো নয়। এএসআই-এর বক্তব্য, কুতুব মিনার কমপ্লেক্স যখন এএসআই-এর সংরক্ষণে এসেছে তখনও কোনো ধর্মের অনুসারীরা সেখানে কোনো পূজা-অর্চনা করছিলেন না।

কুতুব মিনারে ২৭ টি মন্দিরের অবশেষাংশ পাওয়া গিয়েছে - পিটিশনকারী 
হরিশঙ্কর জৈন, যিনি  পুজোর দাবিতে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন, তিনি কুতুব মিনার নিয়ে একটি বড় দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন যে কুতুব মিনারে প্রায় ২৭ টি মন্দিরের ১০০টিরও বেশি ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, কুতুব মিনার সম্পর্কে আমাদের কাছে এত প্রমাণ আছে, যা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। হরিশঙ্কর জৈন দাবি করেছেন যে সমস্ত প্রমাণ তিনি এএসআই-এর বই থেকে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এএসআই বলছে এগুলো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ।

Advertisement

আবেদনকারীর দ্বারা দাবি করা হয়েছে যে,  ASI দ্বারা প্রদর্শিত একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে বলা হয়েছে যে মহম্মদ ঘোরির সেনাবাহিনীর কমান্ডার কুতুবুদ্দিন আইবক দ্বারা ২৭টি মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং প্রাঙ্গনের ভিতরে কুওয়াত-উল-ইসলাম স্থাপন করা হয়েছিল। মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে যে কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে শ্রী গণেশ, বিষ্ণু এবং যক্ষ সহ হিন্দু দেব-দেবীদের স্পষ্ট ছবি এবং মন্দিরের কূপের পাশে কলশ এবং পবিত্র পদ্মের মতো বেশ কিছু প্রতীক রয়েছে, যা ভবনটির হিন্দু উত্স নির্দেশ করে। 

POST A COMMENT
Advertisement