ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) (RBI) প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan) বুধবার রাজস্থানে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে পা মেলালেন। আজ সকালে রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুরের ভাদোটি থেকে যাত্রা আবার শুরু হয়েছে। সেখানেই কিছুক্ষণ হাঁটেন রঘুরাম।
রঘুরাম রাজন প্রায়ই মোদী সরকারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আগে বলেছেন ভারতের ভবিষ্যত উদার গণতন্ত্র এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী না করলে দেশের বৃদ্ধি হবে না। রঘুরাম নোটবন্দীর ঘোর সমালোচক ছিলেন। তিনি দেশের অর্থনৈতিক মন্দার জন্য রাজনৈতিক ও সামাজিক এজেন্ডা কে দায়ী করেছেন। তারপরই বিজেপির তীব্র প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছেন৷
সুতরাং, রঘুরাম রাজনের ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেওয়া আশ্চর্যের কিছু না। কংগ্রেসও চাইছে, সরকারের সমালোচকদের এই যাত্রায় যুক্ত করতে।
বুধবার ছিল রাজস্থানে ভারত জোড়ো যাত্রার দশম দিন। বামনবাস বিধানসভা আসনের অন্তর্গত ভাদোটি গ্রাম থেকে যাত্রা আবার শুরু হয়। আজ যাত্রাটি ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। প্রথম বিরতির পর, যাত্রাটি দৌসা জেলায় প্রবেশ করবে এবং বাগদি গ্রামে থামবে। দৌসা হবে রাজ্যের পঞ্চম জেলা যেখান থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা প্রবেশ করবে৷ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আজ যোগ দিয়েছেন গোবিন্দ দোতাসারা, অশোক গেহলট, শচীন পাইলট এবং অন্যান্য নেতারা৷ তিনি বাগদি গ্রামে একটি সভায় ভাষণ দেবেন।
ভারত জোড়ো যাত্রা, ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছিল, রাজস্থানে প্রবেশের আগে এখনও পর্যন্ত তামিলনাড়ু, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র এবং মধ্য প্রদেশকে কভার করেছে।
রাজস্থানই একমাত্র কংগ্রেস শাসিত রাজ্য যেখানে ভারত জোড়ো যাত্রা প্রবেশ করেছে। এবং ২১ ডিসেম্বর হরিয়ানায় প্রবেশের আগে ১৭ দিন ধরে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার অতিক্রম করবে।
আরও পড়ুন :রাজ্যের ডিএ নিয়ে নয়া আপডেট, মামলা শুনবেন ২ বাঙালি বিচারপতি