সাত সকালে প্রবল শব্দে কেঁপে উঠল ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরের রেলস্টেশন। আচমকা বিস্ফোরণ কিসের, তা বুঝতেই কেটে গেল কয়েক মুহূর্ত। সম্বিৎ ফিরতেই স্টেশনে পড়ে রয়েছে ইতস্তত সিআরপিএফ জওয়ানরা। যাঁরা কিছুক্ষণ আগেই হইহই করে জম্মু-কাশ্মীরগামী ট্রেনে ওঠার তোড়জোর করছিল।
রক্তাক্ত হয়ে পড়ে রয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা
কাছে গিয়ে দেখা গেল তার মধ্যে কয়েকজন রক্তাক্ত হয়ে পড়ে রয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের আঘাত তেমন গুরুতর না হলেও বাকিরা ভাল রকম আঘাত পেয়েছন।
আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা
আচমকা বিস্ফোরণে ৬ সিআরপিএফ জাওয়ান গুরুতর জখম হল। ছত্তিশগড়ের রায়পুর-এর রেল স্টেশন এর ঘটনা। শনিবার সকালে আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। সিআরপিএফের ২১১ ব্যাটেলিয়নে জওয়ানরা জম্মু-কাশ্মীরে যাচ্ছিলেন বিশেষ ট্রেনে।
হ্যান্ড গ্রেনেড ভর্তি বাক্স পড়ে ফেটে যায়
যেখানে ডামি কার্টিজ বক্সে হ্যান্ড গ্রেনেড রাখা ছিল। এইগুলি ওই সিআরপিএফ জওয়ানরাই সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ডিটোনেটর ভর্তি এই বাক্সটি দুর্ঘটনাবশত কোনও ভাবে পড়ে যায়। যখন সিআরপিএফ জওয়ানরা রেলস্টেশনে বাক্সটি নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই এই আচমকা এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বাক্স পড়তেই বিপত্তি
সিআরপিএফ, পুলিশ এবং স্টেশন সূত্রের খবর, বাক্সটি পড়তেই আওয়াজ করে ফেটে যায় তিনজন। গুরুতর জখম হন এবং তাদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার মধ্যে দু'জনকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয় চিকিৎসার পর।
কারণ কি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে
জানা গিয়েছে, সিআরপিএফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং অফিসাররা রায়পুরে হাসপাতালে জখম ওই জওয়ানদের দেখতে যান। বিস্ফোরকভর্তি এই বাক্স নিয়ে আরও সতর্কভাবে চলাফেরা করা উচিত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এর পিছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।