৭৩তম সাধারণতন্ত্র দিবস (Republic Day 2022) উদযাপন করছে দেশ। উৎসবের প্রস্তুতি অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছে কিছুদিন আগেই। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পেলেও ১৯৫০-এর ২৬ জানুয়ারি লাগু হয় দেশের সংবিধান। ডক্টর ভীমরাও আম্বেদকর সংবিধানের খসড়া কমিটির সভাপতিত্ব করেন। দেশে প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর দিনটি সংবিধান দিবস হিসেবে পালিত হয়, কারণ ভারতের সংবিধান ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর দেশের গণপরিষদ দ্বারা গৃহীত হয়েছিল।
প্রতিবছরের মতো এবারেও সমস্ত প্রস্তুতিও হয়ে গিয়েছে। ২৬ জানুয়ারির প্রধান আকর্ষণই হল দিল্লির রাজপথের প্যারেড। রাজপথ থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত চল এই প্যারেড। এবারের কুচকাওয়াজে ১৬টি সামরিক দল, ১৭টি সামরিক ব্যান্ড এবং বিভিন্ন রাজ্য, বিভাগ এবং সশস্ত্র বাহিনীর মোট ২৫টি ট্যাবলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এদিন রাজপথে পতাকা উত্তোলন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনী, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ভারতীয় বিমানবাহিনী ভারতের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ঐতিহ্যের প্রদর্শন করে। একইসঙ্গে রাজপথে বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোও দেখা যায়। এবারও সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদড়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দিল্লি। বন্ধ রাখা হয়েছে দিল্লি মেট্রোর পার্কিং পরিষেবা। এমনকী কয়েকঘণ্টার জন্য কিছু স্টেশানের এন্ট্রি ও এক্সিটও বন্ধ রাখা হচ্ছে।
এই দিনের ইতিহাস
১৯৫০ সালে ২৬ জানুয়ারি লাগু হয়েছিল ভারতের সংবিধান। এক্ষেত্রে গণপরিষদ, যার উদ্দেশ্যই ছিল ভারতের সংবিধানের খসড়া তৈরি করা, ৯ ডিসেম্বর ১৯৪৬ সালে সেটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর সেটির শেষ অধিবেশন হয় এবং এক বছর পর সংবিধান গৃহীত হয়েছিল। অর্থাৎ ভারতের স্বাধীনতার ৩ বছর পর দেশ সংবিধান পেয়েছিল।
এই বছর সাধারণতন্ত্রদিবসের মাহাত্ম্য
সাধারণতন্ত্র দিবস স্বাধীন ভারতের চেতনার প্রতীক। ১৯৩০ সালে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজের ঘোষণা করে। এই দিনটি দেশবাসীকে গণতান্ত্রিক উপায়ে নিজেদের সরকার নির্বাচিত করার কথাও মনে করিয়ে দেয়। এদিন দেশে জাতীয় ছুটিও থাকে।
আরও পড়ুন - প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র, জানেন কীভাবে জাতীয় সঙ্গীত হল জনগণমন?