অহিংসা আমাদের ধর্ম। তবে অত্যাচারীকে শাস্তি দেওয়াও অহিংসারই একটি ধরন। এমনই মন্তব্য করেছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। শনিবার দিল্লিতে 'দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো' বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেছেন সঙ্ঘ প্রধান। বলেছেন যে, ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে ভারত কখনওই প্রতিবেশী দেশের ক্ষতি করে না। তবে কোনও দেশ বা গোষ্ঠী যদি ভুল পথে চালিত হয় এবং অত্যাচার করে, তা হলে রাজার কাজ হল তাঁর প্রজাদের রক্ষা করা। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভাগবতের এহেন মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্য পেয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের অন্যতম দর্শনীয় স্থান বৈসরণ উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রতি বদলা নেওয়ার রব উঠেছে দেশের নানা মহলে। এই প্রেক্ষিতে আরএসএস প্রধানের এমন বক্তব্য উল্লেখযোগ্য।
তার ভাষণে, ভাগবত মুম্বাইয়ে দেওয়া সাম্প্রতিক বক্তৃতারও উল্লেখ করেছেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে রাবণকে হত্যা করা হয়েছিল তার কল্যাণের জন্য। এটা হিংসা নয়, অহিংসা ছিল। তাঁর মতে, যখন কেউ নিপীড়নের সমস্ত সীমা অতিক্রম করে এবং তার সংস্কারের কোন উপায় অবশিষ্ট থাকে না, তখন তাকে দমন করাও একধরনের অহিংসা, ধর্ম অনুসরণ করে। তিনি বলেন, "ভগবান রাবণকে বধ করেছেন, সেটা হিংসা ছিল না। অত্যাচারীদের থামানোই ধর্ম (ধর্ম)। জনগণকে রক্ষা করা এবং অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া রাজার দায়িত্ব।"
ভাগবত এ-ও উল্লেখ করেছেন যে, রাবণ নিধন করা হয়েছিল তাঁর কল্যাণের জন্যই। রাবণ নিধনকে তিনি অহিংসা বলে অভিহিত করেছেন। এই ঘটনা হিংসার নয় বলেও জানিয়েছেন। তাঁর মতে, যখন কেউ অত্যাচারের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে এবং তার শোধরানোর কোনও অবকাশ আর থাকে না, তখন তাকে দমন করাও এক ধরনের অহিংসা। তাঁর কথায়, 'এটা রাজার কর্তব্য তাঁর জনগণকে রক্ষা করা এবং অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া।'