Subrata Roy Sahara Dies: প্রয়াত সাহারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত রায়, বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর

Subrata Roy Sahara Dies: প্রয়াত হলেন সাহারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান সুব্রত রায়। তিনি মুম্বাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দীর্ঘ অসুস্থতার পর মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement
প্রয়াত সাহারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত রায়, বয়স হয়েছিল ৭৫ বছরপ্রয়াত হলেন সাহারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান সুব্রত রায়।
হাইলাইটস
  • প্রয়াত হলেন সাহারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান সুব্রত রায়।
  • তিনি মুম্বাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
  • মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

Subrata Roy Sahara Dies: প্রয়াত হলেন সাহারা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান সুব্রত রায়। তিনি মুম্বাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দীর্ঘ অসুস্থতার পর মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর।

বিখ্যাত ব্যবসায়ী সুব্রত রায় সাহারা আজ মুম্বাইয়ে মারা গেছেন। সাহারা পরিবারের প্রধান সুব্রত রায় দীর্ঘদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আগামীকাল তার মৃতদেহ লখনউয়ের সাহারা শহরে আনা হবে। এখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে।

১০ জুন, ১৯৪৮ সালে বিহারের আরারিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন সুব্রত রায়। তিনি ছিলেন ভারতীয় ব্যবসায়িক জগতের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি একটি বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা মূলধন, রিয়েল এস্টেট, মিডিয়া এবং হস্পিটালিটি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত ছিল।

সুব্রত রায়ের যাত্রা শুরু হয় গোরক্ষপুরের গভর্নমেন্ট টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে শিক্ষা নিয়ে। ১৯৭৬ সালে একটি চিট ফান্ড কোম্পানি সাহারা ফাইন্যান্সের দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি গোরক্ষপুরে নিজের ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৭৮ সালের মধ্যে, তিনি সাহারা ফাইন্যান্সকে সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারে রূপান্তরিত করেছিলেন, যা পরবর্তিকালে ভারতের বৃহত্তম সংগঠনগুলির মধ্যে একটি হয়ে ওঠে।

তাঁর নেতৃত্বে, সাহারা অসংখ্য ব্যবসায় সম্প্রসারিত হয়। এই গ্রুপ ১৯৯২ সালে হিন্দি ভাষার সংবাদপত্র রাষ্ট্রীয় সাহারা চালু করে। ১৯৯০-এর পরবর্তি দশকের শেষের দিকে পুনের কাছে বিলাসবহুল অ্যাম্বি ভ্যালি সিটি প্রকল্পের সূচনা করে এবং সাহারা টিভির সঙ্গে টেলিভিশনের দুনিয়ায় প্রবেশ করে। পরে এই টিভি চ্যানেলের নাম সাহারা ওয়ান করা হয়। ২০০০ সাল নাগাদ, লন্ডনের গ্রোসভেনর হাউস হোটেল এবং নিউ ইয়র্ক সিটির প্লাজা হোটেলের মতো আইকনিক সম্পত্তি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সাহারা আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল।

একবার টাইম ম্যাগাজিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম নিয়োগকর্তা হিসাবে সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের নাম উঠে আসে (তালিকায় প্রথম ভারতীয় রেলওয়ে)। প্রায় ১২ লক্ষ মানুষকে সে সময় কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয় এই সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার।

Advertisement

তবে ব্যবসায়িক সাফল্য সত্ত্বেও, সুব্রত রায় আইনি সমস্যার সম্মুখীন হন। ২০১৪ সালে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)-এর সঙ্গে বিরোধের কারণে আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে তাঁকে আটকের আদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। একটি দীর্ঘ আইনি লড়াই চলে। জেলবন্দি হতে হয় সুব্রত রায়কে। তিনি তিহার জেলে দীর্ঘ সময় কাটান এবং অবশেষে প্যারোলে মুক্তি পান। মামলাটি সাহারার কাছে বিনিয়োগকারীদের গচ্ছিত কোটি কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য SEBI-এর দাবিকে ঘিরে চলেছিল। পরবর্তিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে একটি "সাহারা-সেবি রিফান্ড অ্যাকাউন্ট" তৈরি করা হয়। বর্তমানে সাহারায় বিনিয়োগ করা অনেকেই তাঁদের টাকা ফেরত পেয়েছেন।

তবে সুব্রত রায়ের আইনি ঝামেলা ব্যবসায়িক জগতে তার অবদানকে কখনও ছাপিয়ে যায়নি। তিনি ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় নেতৃত্বের জন্য সম্মানসূচক ডক্টরেট এবং লন্ডনের পাওয়ারব্র্যান্ডস হল অফ ফেম অ্যাওয়ার্ডস-এ বছরের সেরা ব্যবসায়িক আইকন-এর পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। ইন্ডিয়া টুডে-র বিচারেও ভারতের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের তালিকায় তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন।

POST A COMMENT
Advertisement