Sikkim's Only Airport Is Going To Be Closed: গ্য়াংটক, নাথুলা, বাবামন্দির, ইয়ুমথাং, খেচিপেরি, লাচুং, লাচেন আরও কত জায়গা। ছোট্ট শৈলরাজ্যে পর্যটন কেন্দ্রের খামতি নেই। অনেকে ট্রেনে শিলিগুড়ি এসে সড়ক পথে সিকিম পৌঁছলেও। যাঁদের হাতে সময় কম, তাঁরা কলকাতা থেকে সরাসরি সিকিমে চলে যাচ্ছিলেন। বিগত কিছু বছর থেকে সিকিমের একমাত্র বিমানবন্দর পাকিয়ংয়ে চালু হওয়ায় অনেকেই সরাসরি সিকিমে পৌঁছচ্ছিলেন। কিন্তু আপাতত সেটি আর হচ্ছে না। কারণ সিকিমের পাকিয়ং বিমানবন্দর থেকে সমস্ত উড়ান তুলে নিয়েছে বিমান সংস্থা স্পাইসজেট। এখানে একমাত্র অ্যাভিয়েশন সংস্থা হিসেবে স্পাইসজেট উড়ান চালাচ্ছিল।
আরও পড়ুনঃ কাল থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে দার্জিলিংয়ের 'টাইগার হিল' দর্শন
কী জানানো হয়েছে বিমান সংস্থার তরফে?
সিকিমের পাকিয়ং বিমানবন্দরে উড়ান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইসজেট। ওই বিমানবন্দরের পরিচালন সংস্থাকে দেওয়া চিঠিতে স্পাইসজেট জানিয়েছে, পরিচালনগত প্রয়োজনীয়তার কারণে আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে সমস্ত বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত উড়ান বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি স্পাইসজেটের একাধিক বিমানে উড়ানের সময় ইঞ্জিনে নানা রকম ত্রুটি দেখা দিয়েছে। তারই জেরে বিমানগুলি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে সাময়িক ভাবে উড়ান বন্ধের এই সিদ্ধান্ত। যে বিমানগুলি সিকিমে চালানো হচ্ছিল, সেগুলি কানাডার ডি হ্যাভিল্যান্ড সংস্থার তৈরি। কিউ-৪০০ টার্বো-ইঞ্জিন বিমানে পাইলট, বিমানকর্মী ও যাত্রী-সহ ৮০ জনের মতো নিয়ে উড়তে পারে।
২০০৯ সালে গ্যাংটক থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে পাকিয়ং গ্রামের কাছে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল এই বিমানবন্দরের। পাহাড়ের ঢাল কেটে ৯৯০ একর জমির উপর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৫০০ ফুট উঁচুতে এই বিমানবন্দর তৈরি হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার নিরিখে পাকিয়ং ভারতের অন্যতম উঁচু বিমানবন্দর। ২০১৮ সালেসিকিমের একমাত্র বিমানবন্দর পাকিয়ংয়ে উদ্বোধন হয়। সে বছরই অক্টোবর থেকে কলকাতা, দিল্লি ও গুয়াহাটির সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু হয়েছিল। বর্তমানে কেবল মাত্র স্পাইসজেটেরই কম খরচের উড়ান পরিষেবা রয়েছে সিকিমের এক মাত্র বিমানবন্দর পাকিয়ংয়ে।
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিং আসার দরকার নেই, বাংলাদেশ থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখছেন ওদেশের মানুষ
এখন যদি অন্য় কোনও সংস্থাকে রাজি করানো যায়, তাহলে চালু হতে পারে। অন্যথায় স্পাইসজেটের তরফে ফের কবে চালু হবে বিমান, তার উপর নির্ভর করবে বিমানবন্দরের পরিষেবা। তাই সরকারিভাবে খোলা থাকলেও বিমানের অভাবে কার্যত বন্ধ বিমানবন্দর।