মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল মুসলিম পক্ষ। মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে সমীক্ষার নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টও। যার নির্যাস, মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান মামলায় শাহি ইদগাহ মসজিদে সার্ভে চলবে।
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন, বিষ্ণুশঙ্কর জৈন, প্রভাস পাণ্ডে এবং দেবকী নন্দন মথুরার শাহি ইদগাহকে ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি’ বলে চিহ্নিত করে সেখানে জমি মাপজোক এবং বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার দাবি তুলেছিলেন। যার বিরোধিতা করেছিল মুসলিম পক্ষ। এই মামলাটি প্রথমে মথুরার নিম্ন আদালতে দায়ের হয়। সেই মামলার বিরোধিতা করে ২০২২ সালে ডিসেম্বর মাসে মুসলিম পক্ষ হাইকোর্টে যায়। সেই মামলাতেই হিন্দু পক্ষের আবেদনে অর্থাৎ মসজিদ চত্বরে সার্ভের আবেদন মঞ্জুর করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ। এবার দেশের শীর্ষ আদালতও সার্ভে চালু রাখার রায়ই বহাল রাখল।
মথুরার প্রাচীন কাটরা স্তূপ (যা কাটরা কেশবদাস নামে পরিচিত) এলাকায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান কমপ্লেক্সের পাশেই রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দু পক্ষের দাবি, ইদগাহ মসজিদের ওই জমিতে কৃষ্ণের জন্মস্থানে ছিল প্রাচীন কেশবদাস মন্দির। কাশীর ‘আসল বিশ্বনাথ মন্দিরের’ মতোই মথুরার মন্দিরটিও ধ্বংস করেছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। অভিযোগ, ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে ১৬৬৯ থেকে ১৬৭০ সালে তৈরি করা হয়েছিল মসজিদটি, কাটরা কেশবদাস মন্দিরের ১৩.৩৭ একর জমিতে।
আজ অর্থাত্ শুক্রবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ এদিন মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দেয়। মসজিদ কমিটির আইনজীবী হুফেজা আহমেদি যুক্তি দিয়েছিলেন যে হাইকোর্ট, যা এখন ট্রায়াল কোর্ট, 'কিছু ইন্টারলোকিউটরি আদেশ যা ফলাফলের উপর প্রভাব ফেলে' পাস করেছে।