SC On Allahabad High Court: 'স্তনে হাত দেওয়া...', এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে কড়া সুপ্রিম কোর্ট

কাসগঞ্জ আদালতের নির্দেশে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়।নিম্ন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পৌঁছয় মামলাটি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪৫-বি  (বিবস্ত্র করার জন্য বলপ্রয়োগ) এবং পকসো আইনের ৯/১০ ধারায় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন বিচারপতি রামমনোহর নারায়ণ মিশ্র।

Advertisement
'স্তনে হাত দেওয়া...', এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে কড়া সুপ্রিম কোর্টএলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ
হাইলাইটস
  • 'এটা কোনও একটা মুহূর্তে ঘটে গিয়েছে এমনটা নয়।'
  • 'বিচার স্থগিত রাখার ৪ মাস পর এই পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।'
  • পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।

'স্তনে হাত দেওয়া', মহিলার 'পাজামার দড়ি' খুলে দেওয়া ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা বলা যাবে না। এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছিল শীর্ষ আদালত। তারা জানাল,এই পর্যবেক্ষণে সংবেদশীলতার অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের জবাবও তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।   

বিচারপতি বিআর গাভাই এবং জর্জ মাসিহর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ,'আমাদের কষ্ট হচ্ছে যে এই রায় যিনি লিখেছেন, তাঁর সংবেদনশীলতার অভাব রয়েছে। এটা কোনও একটা মুহূর্তে ঘটে গিয়েছে এমনটা নয়। বিচার স্থগিত রাখার ৪ মাস পর এই পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। ফলে ওই মন্তব্য করা হয়েছে ভেবেচিন্তেই'।  

স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়ে বেঞ্চ জানায়,'এই পর্যায়ে স্থগিতাদেশ দিতে চাইনি। কিন্তু ২১, ২৪ এবং ২৬ অনুচ্ছেদে যে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, তা আইনের সঙ্গে মৌলিক নীতির সঙ্গে খাপ খায় না। এটা অমানবিক। তাই পর্যবেক্ষণের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হল'।     

উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জের একটি মামলার শুনানিতে বিতর্কিত পর্যবেক্ষণ করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি। ওই মামলায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীর বুকে হাত দেওয়া এবং পাজামার দড়ি খুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ২০২১ সালে একটি কালভার্টের নীচে কিশোরীকে টেনে নিয়ে যান অভিযুক্তেরা। স্থানীয়রা আসতেই কিশোরীকে ফেলে চম্পট দেন দুই অভিযুক্ত। কিশোরীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নামে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ দায়ের হয়। 

কাসগঞ্জ আদালতের নির্দেশে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়।নিম্ন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পৌঁছয় মামলাটি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪৫-বি  (বিবস্ত্র করার জন্য বলপ্রয়োগ) এবং পকসো আইনের ৯/১০ ধারায় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন বিচারপতি রামমনোহর নারায়ণ মিশ্র। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল,'ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার অভিযো এক্ষেত্রে খাটে না। কারণ নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করা হয়েছে এমনটা সাক্ষীরাও বলেননি।  অভিযুক্তেরা নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করতেই চেয়েছিলেন, এমন ধারণার পক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি'। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement