Tashi Namgyal: কার্গিলে পাকিস্তানি সেনার অনুপ্রবেশ সম্পর্কে প্রথম জানিয়েছিলেন, চলে গেলেন সেই লাদাখি মেষপালক

১৯৯৯ সালে কার্গিল সেক্টরে পাকিস্তানের অনুপ্রবেশ সম্পর্কে ভারতীয় সেনাদের সতর্ক করা লাদাখি মেষপালক তাশি নামগ্যাল প্রয়াত হলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। শুক্রবার আরিয়ান উপত্যকায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নামগিয়াল এই বছরের শুরুর দিকে ড্রাসে ২৫ তম কার্গিল বিজয় দিবসে অংশ নিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে সেরিং ডলকার। পেশা তিনি একজন শিক্ষক।

ভারতীয় সেনার ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্স-এ লিখেছে, ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস তাশি নামগিয়ালকে তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।' সেনাবাহিনী আরও লিখেছে, 'একজন দেশপ্রেমিক চলে গেলেন। লাদাখের সাহসী - শান্তিতে বিশ্রাম করুক। ১৯৯৯ সালে অপারেশন বিজয়ের সময় দেশের প্রতি তাঁর অমূল্য অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এই শোকের মুহুর্তে আমরা শোকাহত পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।'

১৯৯৯ সালের মে মাসের প্রথম দিকে নিখোঁজ ইয়াক খুঁজতে গিয়ে বাটালিক সেক্টরে পাঠান পোশাকে পাকিস্তানি সেনাদের বাঙ্কার খনন করতে দেখেছিলেন তাশি। পরিস্থিতির গাম্ভীর্য বুঝতে পেরে তিনি অবিলম্বে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে এই বিষয়ে অবহিত করেন। ওই সময়োপযোগী সতর্কবার্তা যা ভারতকে পাল্টা জবাব দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। শ্রীনগর-লেহ হাইওয়ে বিচ্ছিন্ন করার জন্য পাকিস্তানের গোপন মিশনকে ব্যর্থ করে দিয়েছিল। শুরু হয়ে যায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে য়ুদ্ধ। কার্গিল যুদ্ধ ৩ মে থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত চলেছিল। ভারতীয় সেনারা দ্রুত পাকিস্তানের গোপন মিশন নস্যাৎ করে দেয়। কার্গিল যুদ্ধে জয়লাভ করে ভারত। ভারতের বিজয়ে নামগ্যালের সতর্কতা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছিল, তাঁকে একজন বীর মেষপালক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।