শর্ত পূরণ করতে না পারায়, জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (NCP) ও কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (CPI)। পাশাপাশি জাতীয় দলের তকমা দেওয়া হয়েছে আম আদমি পার্টিকে (AAP)। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপে দেশের রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ফলে বর্তমানে দেশে জাতীয় দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৬-এ।
কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করবে তৃণমূল
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করেছে। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি বিকল্প খুঁজছে তারা। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাবে তৃণমূল। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের প্রতিক্রিয়া, 'আমাদের লড়াই চলবে এবং ইসিআইয়ের সিদ্ধান্ত ২০২৪ সালের নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।'
বিবৃতি দিয়েছে সিপিআই
অন্যদিকে সিপিআই নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠক করে এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বিস্তারিতভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকের পরে সিপিআই বিবৃতি জারি করে জানায়, 'সিপিআই-এর সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ভূমিকা এবং স্বাধীনতার পর ভারতে জাতীয় এজেন্ডা গঠনে এর ভূমিকার যথাযথ বিবেচনা করা উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনের। সিপিআই দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে শক্তিশালী করেছে'। দলের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, 'সিপিআই দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় স্তরে এর উপস্থিতি রয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মনিরপেক্ষতা, সংবিধানের আদর্শ রক্ষার পথে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সিপিআই কারও থেকে পিছিয়ে নেই'।
আবারও জাতীয় দল হবে - এনসিপি
পাশাপাশি শরদ পাওয়ারের এনসিপি জানিয়েছে, 'আমরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছি। আমরা আগামী নির্বাচনে কাজ করব এবং আবারও জাতীয় দলে পরিণত হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করব। এনসিপি আরও জানিয়েছে, যখনই আমাদের দলের অবস্থা আবার পর্যালোচনা করা হবে, আমরা আমাদের প্রস্তুতি উপস্থাপন করব এবং আবারও জাতীয় দলের মর্যাদা পেতে সক্ষম হব'।
আরও পড়ুন - দেদার চলছে এসি-কুলার? ৩ টিপস মানলে কম আসবে বিল