সপার গড়েও থাবা বসালেন যোগী আদিত্যনাথ। রামপুর ও আজমগড়ে লোকসভা কেন্দ্র দু'টিতে জিতলেন বিজেপি প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে বঙ্গের লোকসানও 'মেক-আপ' করে নিল গেরুয়া শিবির। লোকসভা উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর উত্তরপ্রদেশে বিজেপির আসন সংখ্যা ৬২ থেকে বেড়ে হল ৬৪। সমাজবাদী পার্টির আসন ৫ থেকে কমে হয়ে গেল মাত্র ৩।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। যা বঙ্গভূমিতে তাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কিন্তু আর একটি লোকসভা ভোট আসার দু'বছর আগেই ১৮ থেকে কমে হয়েছে ১৬। গত বছর আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। বর্তমানে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসানসোলে উপনির্বাচনে জিতেছেন তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহা। অর্জুন সিং খাতায়কলমে এখনও বিজেপির সাংসদ। সদ্য তিনিও দল ছেড়েছেন।
বাবুল ও অর্জুন দল ছাড়ায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ঠেকেছে ৩০১-এ। যদিও সংসদীয় রীতিতে অর্জুন সিংকে বিজেপি সাংসদ হিসেবেই ধরা হবে। এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশে আরও দুই কেন্দ্রে জিতল বিজেপি। ফলে বাংলার যে ২ সাংসদ হারিয়ে ক্ষতি হয়েছিল বিজেপি, উত্তরপ্রদেশ সেটা পুষিয়ে দিল বলে মনে করছেন অনেকে।
উত্তরপ্রদেশের আজমগড় ও রামপুর সমাজবাদী পার্টির গড় হিসেবেই পরিচিত। আজমগড় থেকে সাংসদ ছিলেন অখিলেশ যাদব। তার আগে মুলায়মের কেন্দ্র ছিল আজমগড়। গত বিধানসভা নির্বাচনে কারহল আসন থেকে জিতেছেন অখিলেশ। তার পর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছিল ভোজপুরী নায়ক দীনেশলাল যাদবকে। নিরহুয়া জিতেছেন ৮ হাজারের বেশি ভোটে। অন্যদিকে আজম খানের আসন রামপুরেও গেরুয়া শিবিরের জয়জয়কার। সেখানে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী ঘনশ্যাম সিং লোধি।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় জামানত জব্দ তৃণমূলের, ২ আসনে হাজার ভোটও নেই