বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশে। সে রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরকে সমর্থন করায় এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁরই এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিজেপির জয় উদযাপন করায় মহিলার পরিবারকেও শাসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। শনিবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আহমেদপুরের সেহোরে এলাকায় গত ৪ ডিসেম্বরে ঘটনাটি ঘটেছে। সামিনা নামে এক মহিলার অভিযোগ, বিজেপির জয় উপলক্ষে উদযাপন করছিলেন তিনি। তাতে বাধা দেন জাভেদ খান নামে তাঁর এক আত্মীয়। মহিলাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর ওই আত্মীয়ের বিরুদ্ধে।
কুকথার প্রতিবাদ করায় সামিনাকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরে জখম হয়েছেন সামিনা। বিজেপিকে আগামী দিনে সমর্থন জানালে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে বলেও সামিনাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪, ৩২৩, ৫০৬, ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে সেহোর পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, 'এক মহিলাকে মারধর করেছেন তাঁর আত্মীয়। আমরা এই অভিযোগ পেয়েছি। ভারতীয় দন্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হবে।' এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি।
শুক্রবার সেহোরের জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন সামিনা। এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় আমার আত্মীয় রেগে গিয়েছিলেন। তাই আমায় মারধর করা হয়। পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।'
আক্রান্ত মহিলার সঙ্গে দেখা করেছেন মধ্যপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহ্বান। সাক্ষাতের ছবি এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেছেন তিনি। পাশাপাশি, কঠোর পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ওই মহিলাকে আর্থিক সাহায্য করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছেন।
২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ১৬৩টি কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে এল।