Bipodtarini Puja Rituals: বিপত্তারিণী পুজোয় কী করবেন-কী করবেন না? শুভ ফল পেতে জানাটা জরুরি

আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে শনিবার ও মঙ্গলবার পড়ে, সেই দিনগুলিতেই বিপত্তারিণীর ব্রত পালন করা হয়। সনাতন ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অনেক। দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ হল বিপত্তারিণী। বিশ্বাস করা হয় এই ব্রত করলে যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হিন্দু মহিলারা এই ব্রত পালন করে থাকেন। এই পুজোয় দেবীকে একটি লাল সুতো নিবেদন করা হয়। পরে সেই লাল সুতোই হাতে বাঁধার প্রথা রয়েছে। মনে করা হয় এই সুতো বাঁধলে দেবী নিজের ভক্তদের সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করেন।

এ বছর ৯ জুলাই মঙ্গলবার বিপত্তারিণীর প্রথম ব্রত করার দিন। এই দিনটি অত্যন্ত বিশেষ। বাংলা মাস অনুযায়ী ১৪৩১ সালের ২৪ আষাঢ়, মঙ্গলবার বিপত্তারিণী পুজো পালন করবেন সকলে। বিপত্তারিণী ব্রতর দ্বিতীয় দিন পরেছে ১৩ জুলাই, শনিবার। বাংলা মাস অনুযায়ী ১৪৩১ সনের ২৮ আষাঢ়, শনিবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিপত্তারিণী পুজোর সময় কী করবেন আর কী করবেন না।

কী কী করবেন

• বিপত্তারিণী মায়ের পুজোয় ১৩ সংখ্যাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্রত পালন করতে লাগে ১৩টি ফল, ১৩টি ফুল, ১৩টি সুপুরি ও ১৩ রকম নৈবেদ্য।
• এই ব্রত পালনের দিন কেউ কেউ ১৩ টি ছোট ছোট লুচি ভেজে খান।
• ব্রত পালন করলে চাল বা চালজাত জিনিস নিয়ে তৈরি কোনও খাবার  খাওয়া যাবে না। মুড়ি, ভাত, চিড়ে, থেকে দূরে থাকতে হবে।
• লাল সুতোয় ১৩টি গিট বেঁধে পুজো হয়। সেই ধাগা হাতে বাঁধা হয় মঙ্গল কামনায়।

কী কী করবেন না

• বিপত্তারিণী পুজোর আগের ও পুজোর দিন ভুলেও আমিষ খাবার খাওয়া উচিত নয়।
• এই দুদিন নিরামিষ খাবার খাওয়া উচিত। এমনকি, বাড়ির সকল সদস্যেরও নিরামিষ আহার গ্রহণ করা উচিত।
• বিপত্তারিণী পুজোর অন্যতম অঙ্গ হল সুতো। ১৩টি লাল সুতোয় ১৩টি গিঁট এবং ১৩টি দুর্বা ঘাস দিয়ে ডোর তৈরি করতে হয়। বাম হাতে ধারণ করতে হয়।
• বিশ্বাস, এই সুতো বেঁধে রাখলে স্বামী-সন্তানের উপর আসা সমস্ত বিপদ দূর হয়।
• বিপত্তারিণী পুজোর সময়ে কাউকে অপমান করবেন না। ভুল করে কোনও মহিলার সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলবেন না।
• পুজো কখনও অপরিষ্কার জায়গায় করা উচিত নয় ৷ এতে সংসারে সুখ শান্তি নষ্ট হয়ে যায়।
• এই পুজোর দিন কখনোই চিনি কাউকে ধার দেবেন না, এতে শুক্র দুর্বল হয়।