Durgapuja 2025 Vastu Tips: শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হয় নবরাত্রি। এই নয় দিন জুড়ে চলে মা দুর্গার বিশেষ আরাধনা। শাস্ত্রমতে, যাঁরা নিয়ম মেনে এই সময়ে মা-র পুজো করেন, তাঁদের জীবনে আর ফিরে তাকাতে হয় না। দুর্গাশক্তির আশীর্বাদে সাফল্য, শান্তি আর সমৃদ্ধি, সব কিছুই ধরা দেয় হাতে।
এ বছর ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া। পিতৃপক্ষ শেষ করে শুরু হবে দেবীপক্ষ। আর সেই সঙ্গেই শুরু হবে শারদীয়া নবরাত্রি। আশ্বিন মাসের এই বিশেষ সময়ে দেবীর নবরূপ পুজো করে ভক্তরা চান ইচ্ছেপূরণের আশীর্বাদ। তবে শুধু পুজো করলেই নয়, শাস্ত্রমতে কিছু কাজ করলে এই সময়ে জীবনে আসে আশ্চর্য পরিবর্তন। কী কী কাজ করা উচিত এই সময়ে? দেখুন...
দুর্গা সপ্তশতী পাঠ
জীবনে পারিবারিক অশান্তি, জমিজমা নিয়ে বিবাদ, সন্তান নিয়ে দুশ্চিন্তা বা কেরিয়ারে বাধা, যাই হোক না কেন, দুর্গানবরাত্রির সময়ে নিয়ম করে দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করতে বলা হয়।
শাস্ত্র বলছে, এই পাঠ মানুষকে কাম, ক্রোধ, লোভ থেকে মুক্তি দেয়। কাজের প্রতি একাগ্রতা বাড়ায়। নিয়মিত এই পাঠ করলে জীবনে আর্থিক উন্নতি হয় এবং ভাগ্যের দরজাও খুলে যায়। বিশেষ করে যাঁরা জীবনে বারবার বাধার মুখে পড়ছেন, তাঁদের জন্য এই পাঠ অত্যন্ত উপকারী।
মা দুর্গার চল্লিশা পাঠ
দেবী দুর্গার প্রতি আস্থা বাড়াতে এবং পরিবারে ইতিবাচক শক্তি ডেকে আনতে দুর্গাপুজোর সময়ে চার দিন মা দুর্গার চল্লিশা পাঠ করার পরামর্শ দেন পণ্ডিতেরা। প্রতিদিন মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে এই চল্লিশা পাঠ করুন। এতে সংসার জীবনের টানাপড়েন অনেকটা হালকা হবে। মানসিক শান্তি আসবে, বাড়িতে থাকবে আশীর্বাদের ছায়া।
মা দুর্গাকে পান নিবেদন
আপনি যদি অর্থভাগ্য বাড়াতে চান, তাহলে এই সময়ে মা দুর্গাকে প্রতিদিন একটি করে পান নিবেদন করুন। এই ছোট্ট কাজটিই মা-র আশীর্বাদ টেনে আনতে পারে আপনার জীবনে। আটকে থাকা টাকা আসতে পারে হাতে, পুরনো দেনা মেটাতে পারবেন এবং নতুন অর্থপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
কেন এই সময় এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই সময় শুধু দেবীর আরাধনার নয়, নিজেকে শুদ্ধ করারও সময়। নবরাত্রির প্রতিটি দিন এক-একটি রূপে দেবী পূজিতা হন। শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী, সিদ্ধিদাত্রী। প্রত্যেক রূপে পুজো মানে জীবনের এক একটি দিককে শক্তিশালী করে তোলা। তাই নিয়ম করে পুজো করলেই জীবনে সফলতা, শান্তি ও অর্থ, সবই আসবে।