একমাসব্যাপী পবিত্র রমজান মাস (Ramadan) পালনের পর আসে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের (Muslim) প্রধান উৎসব খুশীর ইদ (Eid) বা ইদ উল-ফিতর (Eid Ul-Fitr)। এই উৎসব 'মিঠি ইদ' নামেও পরিচিত। ইসলামী ক্যালেন্ডার (হিজরি) অনুযায়ী নবম মাসটি হল রমজান মাস। আর দশম মাস অর্থাৎ শাওয়ালের প্রথম দিনটি বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয় ইদ।
ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, যারা সৎ উদ্দেশ্য প্রার্থনা এবং উপবাস করেন, ঈশ্বর তার ভক্তদের অতীতের পাপকে ক্ষমা করেন। দিনটি পবিত্র নবী হজরত মোহাম্মদ যেদিন পবিত্র কোরানের প্রথম প্রকাশনা হিসাবে চিহ্নিত। ইদ-উল-ফিতর কথাটির অর্থ উপবাস ভঙ্গের উত্সব। রমজান মাসের উপবাস ভঙ্গ করা হয় ইদের দিনে। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে, রমজান মাস কখনও ২৯ দিন তো কখনও ৩০ দিন হয়। এরপর চাঁদ দেখে পালন নয় খুশীর ইদ।
ইদ -উল -ফিতর ২০২৪-র তারিখ (Eid Al-Fitr 2024 Date)
গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ইদ-উল-ফিতর-র কোনও নির্দিষ্ট দিন নেই। দশম মাসের আগে আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ার পরেই ইদ পালিত হয়। সুতরাং, রমজানের শেষ দিনে চাঁদ দেখার পরের দিন খুশীর ইদ পালন হয়। শাওয়ালের চাঁদটি সৌদি আরবে প্রথম দেখা যায়। আর সে অনুযায়ী অন্যান্য দেশে ইদ পালনের তারিখটি নিশ্চিত হয়। চাঁদ দেখার উপরই রমজানের শুরু এবং শেষ নির্ভরশীল। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে, রমজান মাস কখনও ২৯ দিন তো কখনও ৩০ দিন হয়।
এই বছর ১১ মার্চ থেকে রমজান মাস হয়েছে। এই রমজান মাস শেষ হতে পারে ১০ এপ্রিল। এরপর চাঁদ দেখে পালন হবে খুশীর ইদ। সেই হিসেব অনুযায়ী, মনে করা হচ্ছে ইদ হতে পারে ১১ এপ্রিল। যদিও ভারতে ইদের তারিখ নির্ভর করছে সৌদি আরবে চাঁদ দেখা অবধি।
ইদ- উল- ফিতর উদযাপন (Eid Al-Fitr Celebrations)
ইদের দিন সকালে মুসলমানরা মসজিদে একত্রিত হয়ে নামাজ পড়েন। এরপরে তাদের পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে দিনটি কাটান। একে অপরকে 'ইদ মোবারক' জানিয়ে কোলাকুলির মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নতুন জামাকাপড়, নাচ-গান, আড্ডা, খাওয়া -দাওয়া, সব মিলিয়ে চুটিয়ে উপভোগ করেন এই উৎসব।