Holi 2025- Nyara Pora Rituals: 'আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া কাল আমাদের দোল...,' বুড়ির ঘর পোড়ানো রীতি আসলে কী?

Holi 2025 Festival Rituals: প্রায় গোটা দেশ জুড়ে সাড়ম্বরে পালন করা হয় এই উৎসব। দোলযাত্রা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। দোলযাত্রার ঠিক আগের দিন সকলে মেতে ওঠেন  ন্যাড়া পোড়া রীতিতে।

Advertisement
'আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া কাল আমাদের দোল...,' বুড়ির ঘর পোড়ানো রীতি আসলে কী?

'আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া কাল আমাদের দোল, পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে বল হরি বোল।' এই মজার ছড়া প্রায় সব বাঙালিরই পরিচিত। এমনিতেই বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ। ভারতীয়দের অনেক উৎসবের মধ্যে সকলের পছন্দের তালিকায় প্রথমের দিকেই থাকে দোল (Dol Yatra) বা হোলি (Holi)। প্রায় গোটা দেশ জুড়ে সাড়ম্বরে পালন করা হয় এই উৎসব। দোলযাত্রা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব।

দোলযাত্রার ঠিক আগের দিন সকলে মেতে ওঠেন  ন্যাড়া পোড়া (Nyara Pora) রীতিতে। অনেকে আবার ন্যাড়া পোড়াকে বুড়ির ঘর পোড়ানো বলে। হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়া উৎসব আসলে মনের কালিমাকে দূরে সরিয়ে, আলোর উজ্জ্বলতায় জীবনকে ভরিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতির জন্যে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়।

 

Nyara Pora Rituals

ন্যাড়া পোড়া রীতি কী?  

ন্যাড়া পোড়ার হল অশুভ শক্তির বিনাশ। এদিন শুকনো ডাল, কাঠ এবং শুকনো পাতা জোগাড় করে সেগুলোকে স্তূপাকার করে ফাগুন পূর্ণিমার সন্ধ্যায় পোড়ানো হয়। যুগ যুগ ধরে এই রীতি আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে। তাই ন্যাড়া পোড়ার পর সবাই সেই ছাই শরীর ও কপালে ছোঁয়ায়। বিশ্বাস করা হয় যে, এতে অশুভ শক্তি ছায়া জীবনের ওপর পড়ে না। ন্যাড়া পোড়া হল মন্দের উপর ভালর জয়ের প্রতীক।

 

holika dahan

হোলিকা দহন রীতি কী? 

বাংলার বাইরে ন্যাড়া পোড়ার রীতি হোলিকা দহন নামে পরিচিত। উদ্দেশ্য ও কারণ মূলত এক হলেও, রীতি পালনের ধরণে স্থানভেদে পার্থক্য আছে। হোলির ঠিক আট দিন আগে কোনও শুভ কাজ করা উচিত না। সেই সময়কালকে হোলিকা দহন বলা হয়।  তবে এই রীতি মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ভারত, নেপাল কিংবা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে প্রচলিত। বাঙালির অনেকটা একই ধরণের উৎসব পালনের রীতি আছে যাকে ন্যাড়া পোড়া বলে।  তবে সেটি হয় দোলযাত্রার আগের দিন। কোনও অশুভ শক্তিকে হারিয়ে, শুভ শক্তি জয়ের উদযাপন হল এই রীতির মূল উদ্দেশ্য। 

Advertisement

 

Nyara Pora Rituals

হোলিকা দহনের গুরুত্ব

প্রহ্লাদকে বাঁচাতে বিষ্ণুর হোলিকা বধকে উদযাপন করা হয় হোলিকা দহনের মাধ্যমে। হোলির আগের দিন কোনও খোলা মাঠ বা স্থানে কাঠ ও জ্বালানি মজুদ করে সাজানো হয়। তার উপর একটি পুত্তলি রাখা হয়, যা হোলিকার প্রতীকী রূপ। এই হোলিকা প্রহ্লাদকে ছলনা করে আগুনে পোড়াতে চেয়েছিলেন। অনেকে এই সময় নিজেদের বাড়ি রং করেন ও সাজান। সেই সঙ্গে বিভিন্ন খাবার, বিশেষত গুজিয়া, মালপোয়ার মতো মিষ্টির ব্যবস্থা করা হয়। মনে করা হয় সমস্ত নেতিবাচক শক্তি এই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। 

 

holi

দোল ও হোলির দিনক্ষণ

এই বছর দোলযাত্রা পড়েছে ১৪ মার্চ (বাংলায় ২৯ ফাল্গুন)। এই দিনটিকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। হোলি সাধারণত দোলের পরের দিন পালিত হয়। তবে এবছর হোলি উৎসব পড়েছে ১৪ মার্চ। ১৩ মার্চ সকাল ১০/২৪ মিনিট থেকে ১৪ মার্চ সকাল ১১/৩৫ মিনিট পর্যন্ত এই বছর পূর্ণিমা থাকবে।  
 
হোলিকা দহন কবে? 

হোলিকা দহন উৎসব হয় গোটা উত্তর ভারত জুড়ে। মনের কালিমাকে দূরে সরিয়ে আলোর উজ্জ্বলতায় জীবনকে ভরিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতির জন্যে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়। এবছর ন্যাড়া পোড়া বা হোলিকা দহন হবে ১৩ মার্চ। 


 

POST A COMMENT
Advertisement