হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী দোল বা হোলি শুধুই রঙের উত্সব নয়। দোল ও হোলি যতটা ধর্মীয়, ততটাই সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উত্সব। গোটা দেশে হোলি প্রচুর উত্সাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। দোল ভ্রাতৃত্ব ও প্রেমের উত্সব। জেনে নিন, এই বছর কবে পালিত হবে দোল পূর্ণিমা। ভারতবর্ষের বেশির ভাগ রাজ্যেই রঙের উৎসব পালন করা হয় মহা সমারোহে।
সাধারণত ফাল্গুন-চৈত্র মাসেই হয় দোল উৎসব। এই উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় পুজোও হয়। দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের জন্যে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এদিন রাধা-কৃষ্ণের পুজো করা হয় বিশেষত। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীনীদের সঙ্গে রঙ খেলায় মেতেছিলেন। আবার শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্ত উৎসব চালু করেছিলেন। তাই রঙিন এই উৎসবের দিকে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই।
দোল ও হোলির তারিখ এই বছর দোলযাত্রা পড়েছে ২৫ মার্চ (বাংলায় ১০ চৈত্র)। এই দিনটিকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। হোলি সাধারণত দোলের পরের দিন পালিত হয়। এবছর হোলি উৎসব পড়েছে ২৬ মার্চ। দোল পূর্ণিমার সময় ২৪ মার্চ ঘ ৯/৪২/১১ থেকে ২৫ মার্চ ঘ ১১/৪৭/২২ মিনিট পর্যন্ত এই বছর পূর্ণিমা থাকবে।
হোলিকা দহন কখন? হোলিকা দহন উৎসব হয় গোটা উত্তর ভারত জুড়ে। মনের কালিমাকে দূরে সরিয়ে আলোর উজ্জ্বলতায় জীবনকে ভরিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতির জন্যে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়। এবছর হোলিকা দহনের সবচেয়ে শুভ তিথি, ২৪ মার্চ রাত ১১:১৩ থেকে ১১:৫৩ পর্যন্ত। বসন্তে চারিদিকে এক অন্যরকম হাওয়া বয়। প্রকৃতিও তার চারিপাশ ঢেলে সাজায় এই সময়ে। বসন্তকে নিয়ে রয়েছে একাধিক গান। তা সে রবীন্দ্র সঙ্গীত হোক কিংবা আধুনিক। চারিদিক যেন রঙিন হয়ে ওঠে এই সময়ে। সে জন্যেই হয়তো বসন্তকে বলা হয় 'ঋতুরাজ'।