Kartik Purnima ২০২৩: কার্তিক পূর্ণিমা দিনটিকে কার্তিক মাসের সবচেয়ে শুভ দিন বলে মানা হয়।কার্তিক মাস ভগবান বিষ্ণুর (Lord Vishnu) সবচেয়ে প্রিয় মাস। শ্রীকৃষ্ণেরও (Sri Krishna) প্রিয় মাস এটি। হিন্দুধর্মে কার্তিক পূর্ণিমাকে দেব দীপাবলি (Dev Deepawali 2022) নামেও ব্যাখ্যা করা হয়। এই দিনে ভগবান বিষ্ণু কার্তিক মাসে মত্স্য অবতারে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। হিন্দু ধর্মে কার্তিক পূর্ণিমাকে অনেকে ত্রিপুরী পূর্ণিমাও বলেন। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর নামে এক অসুরকে বধ করেছিলেন। ত্রিপুরাসুর বধে খুশি হয়ে স্বর্গের দেবতারা কাশিতে প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। তাই এই দিনটিতে দেব দীপাবলি ধুমধাম করে পালিত হয়।
১. হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মনে করা হয়, কার্তিক পূর্ণিমার দিনে যদি গঙ্গাস্নান করে কোনও দুঃস্থ ব্যক্তিকে দান করা হয়, তার মঙ্গল ও সাফল্য আসে জীবনে।
২. এছাড়া যাঁরা সারা বছর পুজো করেন না, তাঁরা এদিন পুজো করলে সেই ক্ষতি একটি দিনেই পূরণ হয় বলে মনে করা হয়।
৩.প্রদীপ দেবেন কীভাবে
৩. এই দিনে ব্রহ্ম মুহূর্তে সকালে নদী বা পুকুরে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন। কথিত আছে, এদিন প্রদীপ জ্বালালে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
কীভাবে কার্তিক পূর্ণিমা/ পুজো করবেন?
এদিন ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কাছে নদী বা পুকুরে স্নান করে ধোয়া জামা-কাপড় পরুন। যদি এ রকম সুযোগ না থাকে, তাহলে বালতিতে গঙ্গাজল মিশিয়ে স্নান করুন। এরপর কোনও নদী, পুকুরের ঘাটে বা মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। এরপর বাড়িতে পুজো সেরে নিন।
এদিনে কোন কাজ করা বারণ
১. এদিন ঘুণাক্ষরেও তুলসি পাতা ছোঁবেন না।
২. এদিন পারলে নিরামিষ খাবার খেতে পারেন।