Ayodhya Ram Mandir: ভগবান শ্রী রাম আগামীকাল অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি ২০২৪-এ অযোধ্যার শ্রী রাম মন্দিরে রামে অভিষিক্ত হতে চলেছেন। এখানে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমত, ইসরো অর্থাৎ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা মহাকাশ থেকে রাম মন্দিরের একটি দুর্দান্ত দর্শন দিয়েছে। মহাকাশ থেকে প্রথমবার শ্রী রাম মন্দির ও অযোধ্যার দৃশ্য। এই ছবির জন্য ISRO ব্যবহার করেছে ইন্ডিয়ান রিমোট সেন্সিং (IRS) সিরিজের একটি দেশীয় স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়েছে।এই ছবিতে শুধু শ্রী রাম মন্দির নয়, অযোধ্যার একটা বড় অংশ দেখা যাচ্ছে। নীচের রেলস্টেশন দেখা যাচ্ছে। রাম মন্দিরের ডান দিকে দশর মহল।
উপরের বাম দিকে, সরয়ু নদী এবং এর বন্যা এলাকা, যাকে পলিমাটিও বলা হয়, দৃশ্যমান। আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই ছবিটি এক মাস আগে অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩-এ তোলা হয়েছিল। তারপর থেকেই বদলে যাচ্ছে অযোধ্যার আবহাওয়া। ঘন কুয়াশার কারণে স্যাটেলাইটটি আর ছবি তুলতে পারেনি। ভারতের বর্তমানে মহাকাশে ৫০টিরও বেশি স্যাটেলাইট রয়েছে। যার রেজুলেশন এক মিটারের কম।
মন্দির নির্মাণেও ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে
তার মানে এই স্যাটেলাইটগুলো এতটাই শক্তিশালী যে তারা এক মিটারের কম আকারের বস্তুরও পরিষ্কার ছবি তুলতে পারে। হায়দ্রাবাদে অবস্থিত ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারে (NRSC)। এই ছবিগুলো প্রসেসিং ও পরিচালনার কাজ করা হয়। ছবিও সেখান থেকে চলতে থাকে। শুধু তাই নয়, মন্দির নির্মাণে ইসরো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
কীভাবে জানতে চান?
প্রকৃতপক্ষে, লারসেন অ্যান্ড টুর্বো (এলএন্ডটি), যে কোম্পানিটি মন্দিরটি তৈরি করেছিল, গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) ভিত্তিক স্থানাঙ্ক পেয়েছে। যাতে মন্দির চত্বর সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। এই স্থানাঙ্কগুলি ১-৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত নির্ভুল ছিল। এই কাজে ISRO-এর দেশীয় GPS অর্থাৎ NavIC অর্থাৎ ভারতীয় নক্ষত্রপুঞ্জের সাথে নেভিগেশন ব্যবহার করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে প্রাপ্ত সংকেত থেকে মানচিত্র ও স্থানাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে।