Kaushiki Amavasya Timing Bhog: কতক্ষণ থাকছে কৌশিকী অমাবস্যা তিথি? জানুন তারাপীঠে এবার- তারা মায়ের ভোগে কী থাকছে

Kaushiki Amavasya 2025 Puja: কৌশিকী অমাবস্যার পবিত্র লগ্নে তারাপীঠ মন্দিরে, বিশেষ উপাচারে পুজো করা হয় তারা মায়ের৷ এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি।

Advertisement
কতক্ষণ থাকছে কৌশিকী অমাবস্যা? জানুন তারাপীঠে এবার- তারা মায়ের ভোগে কী থাকছেকৌশিকী অমাবস্যা ২০২৫

হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন তিথিতে মা কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। দেবীর আরাধনা সর্বজনবিদিত। ভাদ্র মাসের শুরুতেই যে অমাবস্যা, সেটাই কৌশিকী অমাবস্যা নামে পরিচিত। এই অমাবস্যাকে ভাদ্র অমাবস্যাও বলা হয়। কৌশিকী অমাবস্যার পবিত্র লগ্নে তারাপীঠ মন্দিরে, বিশেষ উপাচারে পুজো করা হয় তারা মায়ের৷ এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি।

কৌশিকী অমাবস্যা ২০২৫-র দিনক্ষণ 

২৩ অগাস্ট  (৬ ভাদ্র) শনিবার অহোরাত্র থাকবে কৌশিকী অমাবস্যা। 

কৌশিকী অমাবস্যা তিথি 

২২ অগাস্ট সকাল  ১১/৫৫ থেকে ২৩ অগাস্ট সকাল ১১/২২ পর্যন্ত থাকবে অমাবস্যা।

তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যা

কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ শ্মশানে চলে তন্ত্রমন্ত্রের বিশেষ যোগ্য। বৌদ্ধ ও হিন্দু তন্ত্রে এই দিনের এক বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। তন্ত্র মতে, এই রাতকে 'তারা রাত্রি'ও বলা হয়। এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দরজা মুহূর্তের জন্য খোলে ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধিলাভ করেন।    

তারাপীঠ মন্দিরে এবছরের আয়োজন

তারাপীঠ মন্দিরে সাজো সাজো রব দিন কয়েক আগে থেকেই। পুজো দিতে তারাপীঠে সকাল থেকেই পুণ্যার্থীদের ভিড়। ফুল-আলোয় সেজেছে মন্দির চত্বর। ভোরে মা তারাকে স্নান করানো হয়। মঙ্গলারতির পর খুলে দেওয়া হয় গর্ভগৃহ। শুক্রবার সারারাত তারাপীঠ মন্দির খোলা থাকবে। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মাকে ডাকের সাজে সাজিয়ে সন্ধ্যারতি ও শীতল ভোগ নিবেদন করা হবে। গভীর রাতে মাকে খিচুড়ি, পোলাও, কারনবারি, পাঁঠার মাংস দিয়ে ভোগ দেওয়া হবে। রাত আড়াইটা নাগাদ দেবী আধ ঘণ্টার জন্য বিশ্রাম নেবেন। ভোর ৩টের সময় দেবীর স্নান ও শীতলভোগ নিবেদনের জন্য ফের গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হবে। 

মা তারা

মা তারা হলেন দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। কৌশিকী তারই আরেক রূপ। মার্কণ্ডেয় পুরাণ মতে, এক সময় মহিষাসুরের অত্যাচারে দেবতারা অতিষ্ট ছিলেন। তখনই দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন৷ কিন্তু এই শান্তি বেশিদিন থাকে না। শুম্ভ- নিশুম্ভের অত্যাচারে দেবতারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। এরপর সকলে পার্বতীর স্মরণাপন্ন হলে,  দেবতাদের রক্ষা করতে মা মহামায়া তাঁর ইচ্ছাশক্তি জাগ্রত করে, এক দেবীমূর্তির জন্ম দেন৷ 

Advertisement

দেবী কৌশিকী অযোনিসম্ভবা ছিলেন, সেই কারণে কৌশিকী দেবীই শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে দেবী কৌশিকীর শরীর থেকে হাজারও যোদ্ধৃ মাতৃকাকুল সৃষ্ট হয় এবং তারাই সমগ্র অসুরকুলকে বিনাশ করে। এই ঘটনাটি ভাদ্র অমাবস্যায় ঘটে। তাই পরবর্তীকালে এটি কৌশিকী অমাবস্যা নামে পরিচিত হয়।

বামাক্ষ্যাপা ও কৌশিকী অমাবস্যা

কথিত আছে সাধক বামাক্ষ্যাপা, ১২৭৪ বঙ্গাব্দে কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। ধ্যানমগ্ন বামাক্ষ্য়াপা এদিন তারা মায়ের আবির্ভাব পান। এছাড়াও শোনা যায়, এই তিথিতে কৌশিকী রূপে মা তারা বিশেষ সন্ধিক্ষণে, শুম্ভ- নিশুম্ভ নামক অসুরদের দমন করেছিলেন। সেই নাম থেকেই 'কৌশিকী অমাবস্যা' নামটি এসেছে। 

বিশ্বাস অনুযায়ী, কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে বিশেষ পুজোয় অংশগ্রহণ করে দ্বারকা নদীতে স্নান করলে জীবনের সব পাপ থেকে মুক্তি মেলে। এদিন সঠিক উপায়ে তন্ত্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে, জীবনের সমস্ত বাঁধা বিপত্তি কেটে যায়, সহজে। ফি বছর হাজার হাজার ভক্তেরা কৌশিকী অমাবস্যার দিন ছুটে যান তারাপীঠ মন্দিরে।  

   
 

POST A COMMENT
Advertisement