সরস্বতী পুজো ২০২৬বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী পুজোর পরই সকলে অপেক্ষা করে থাকেন, সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja)। ইংরাজী নতুন বছরের একেবারে শুরুর দিকেই পড়ে সরস্বতী পুজোর দিন। মূলত মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে বসন্ত পঞ্চমী (Vasant Panchami) বা সরস্বতী পুজো হয়।
এই পুজোর জন্যে সকলে সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকেন। বিশেষত শিক্ষার্থীদের জন্যে সরস্বতী পুজো খুবই স্পেশাল। সকাল থেকেই উপোস থেকে বাগদেবীর উদ্দেশ্যে অঞ্জলি দেন তারা। বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞানের প্রার্থনা করেন সরস্বতী মায়ের কাছে। ২০২৫-র বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। জেনে নিন ২০২৬-র বসন্ত পঞ্চমীর কবে পড়েছে এবং শুভ তিথি কখন।
আরও পড়ুন: কার্তিক পূর্ণিমায় ২ যোগের মিলনে ঘটবে বিরল কাকতালীয় ঘটনা! ৩ রাশির লাকি সময় শুরু
সরস্বতী পুজো ২০২৬-র তারিখ
২০২৬ সালের ২৩ জানুয়ারি, শুক্রবার (বাংলায় ৯ মাঘ) সরস্বতী পুজো পড়েছে।
সরস্বতী পুজোর পঞ্চমী তিথি
২২ জানুয়ারি রাত ১:৩৯ মিনিট থেকে ২৩ জানুয়ারি রাত ১২:২৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে পঞ্চমী তিথি।
সরস্বতী পুজোর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচরসারে, কুচযুগ-শোভিত মুক্তাহারে। বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে।।
নমঃ সরস্বত্যৈ নমো নমঃ নিত্যং ভদ্রকাল্যৈ নমো নমঃ। বেদ- বেদাঙ্গ- বেদান্ত- বিদ্যাস্থানেভ্য এব চ।। এষ সচন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বত্যৈ নমঃ।।- এই মন্ত্রে তিনবার অঞ্জলি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
আরও পড়ুন: আয়ের নতুন পথ খুলবে, পকেটে টান পড়বে এদের! নতুন সপ্তাহে কার কপালে কী আছে?
সরস্বতী পুজোর প্রণাম মন্ত্র
নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল-লোচনে। বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাং দেহি নমোহস্তুতে।। জয় জয় দেবী চরাচরসারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে। বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে।।
পুজোর গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী
শ্রী পঞ্চমীর দিনি সকালেই সরস্বতী পুজো সম্পন্ন করা হয়। সাধারণত নিয়মে পুজো হলেও বেশ কয়েকটি সামগ্রির প্রয়োজন হয়। যেমন- আমের মুকুল, অভ্র- আবির, দোয়াত- খাগের কলম, পলাশ ফুল, বই ও বাদ্যযন্ত্রাদি। এছাড়াও বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুল ও মালা প্রয়োজন হয়।
প্রচলিত লোকাচার অনুযায়ী, সরস্বতী পুজো সম্পন্ন হওয়ার আগে পর্যন্ত কুল খেতে নেই। যদিও এর পেছনে রয়েছে আরও অনেক ব্যাখ্যা। তবে স্কুল- কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাগদেবীর আরাধনার করার পরে অঞ্জলি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা কুল খাওয়ার রীতি বহুদিন ধরে।