Vishwakarma Puja 2025 Dooars Temple: বছরে একবার নয়, সারা বছরই এখানে বিশ্বকর্মা পুজো, ডুয়ার্সের চা বাগানে এটাই নিয়ম

Vishwakarma Puja 2023 Rituals: ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের কুর্তি চা বাগানের বিশ্বকর্মা পুজো সারা বছর সমান মর্যাদায় করা হয়।  এখানে সারা বছরই দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আরাধনা হয়। জানানো হয়েছে এ জন্য মন্দিরে রয়েছে আলাদা উপাসনা কক্ষও।  প্রচুর পর্যটক আসেন এখানে।

Advertisement
বছরে একবার নয়, সারা বছরই এখানে বিশ্বকর্মা পুজো, ডুয়ার্সের চা বাগানে এটাই নিয়মবছরে একবার নয়, সারা বছরই এখানে বিশ্বকর্মা পুজো, ডুয়ার্সের চা বাগানে এটাই নিয়ম

Vishwakarma Puja 2025 Rituals: কথায় আছে, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। একটা উৎসব শেষ হতে না হতেই, আরেকটা হাজির হয়ে যায়। তবে এত সবের মধ্যেও দুর্গাপুজো নিঃসন্দেহে সবার উপরে। আর তার আগেই আসে বিশ্বকর্মা পুজো। দেবশিল্পীর আরাধনাতেই যেন পুজোর মরসুমের ঢাকের প্রথম শব্দ শোনা যায়। কার্যত ভাদ্র সংক্রান্তির দিন এই পুজোর মাধ্যমেই পুজোর মরশুম শুরু হয়ে যায়।

কিন্তু যদি বলা হয়, এমন একটা জায়গা আছে, যেখানে বছরে একদিন নয়, পুরো বছর জুড়েই বিশ্বকর্মা পুজো হয়। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। ডুয়ার্সের একটি এলাকায় রয়েছে বিশ্বকর্মার মন্দির।

কুর্তি চা বাগানে বছরভর বিশ্বকর্মা পুজো
ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের কুর্তি চা বাগান। এখানকার বিশ্বকর্মা মন্দিরে সারা বছর ধরেই দেবশিল্পীর পুজো হয় সমান গুরুত্বে। নির্দিষ্ট একটি দিনে নয়, বরং প্রতি দিনই।এই মন্দিরেই রয়েছে বিশ্বকর্মার জন্য আলাদা উপাসনা কক্ষ। বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বছরের প্রতিটি দিনেই নিয়ম করে চলে পুজো-আচ্চা, যেমনটা হয় অন্য কোনও বড় মন্দিরে। তাই তো কুর্তির বিশ্বকর্মা পুজোর এক বিশেষ মান্যতা তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

দূরদূরান্ত থেকে আসেন ভক্ত, আসেন পর্যটকও
বিশেষ দিনটিতে ভিড় হয় বেশি। কেবল চা বাগানের কর্মী বা বাসিন্দারা নন, উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই পূজোয় অংশ নিতে। চা বাগানের বাইরের পথ, মন্দির চত্বর, আশেপাশের এলাকা ভরে ওঠে উৎসবের আমেজে। এ ছাড়াও পর্যটকদেরও নিয়ে আসেন স্থানীয় গাইড, চালক কিংবা রিসর্ট মালিকেরা। ডুয়ার্স ঘুরতে এসে একবার কুর্তির মন্দিরে না গেলে যেন সফরই অসম্পূর্ণ।

১৯৯৪ সালে তৈরি, আজ পর্যটনের কেন্দ্র
মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। তারপর থেকেই এই চা বাগান শুধু চা উৎপাদনের জন্য নয়, হয়ে উঠেছে একটা জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রও। মন্দিরে শুধু বিশ্বকর্মাই নন, রয়েছেন আরও চারটি উপাসনা কক্ষে রাম-সীতা, শিব-পার্বতী, দুর্গা ও লক্ষ্মী-নারায়ণ। চার বেলা ধরে চলে পূজার্চনা। বিশ্বকর্মার জন্য তো আছে বিশেষ ভোগও।

Advertisement

খরচ বাগান কর্তৃপক্ষের
চা বাগানের পক্ষ থেকে মন্দির পরিচালনার জন্য নিযুক্ত রয়েছেন স্থায়ী দু’জন পুরোহিত। চার বেলা নিয়ম করে তাঁরা পুজো করেন। মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতার খরচের পুরোটাই বহন করে বাগান কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছর এই খাতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয় বলেই খবর। পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত পুজো, দুটোই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।

কমাত্র এখানেই সারা বছর বিশ্বকর্মা পুজো হয়
অন্যান্য জায়গায় যেখানে বছরে একবার হয় বিশ্বকর্মা পুজো, সেখানে কুর্তির এই নিয়ম একেবারেই ব্যতিক্রম। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে চা বলয়ের অভিজ্ঞ মানুষজনও বলছেন, উত্তরবঙ্গে এমন সারা বছরের বিশ্বকর্মা পুজো আর কোথাও হয় না। এ যেন দেবশিল্পীরই আশীর্বাদ। তাই তো প্রতিবছর পুজোর এই সময়টায় কুর্তি চা বাগান হয়ে ওঠে উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু।

POST A COMMENT
Advertisement