রাখির মতো, ভাইফোঁটাও ভাই এবং বোনের মধ্যে ভালবাসা এবং সম্পর্কের প্রতীক। ভাইফোঁটা উৎসব দীপাবলির পরে পালিত হয় এবং হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে পালিত হয়। এটি বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন ভাই দুজ, ভাই টিকা, যম দ্বিতিয়া এবং ভাই দ্বিতিয়া।
ভাইফোঁটা একটি উৎসব যা ভাই-বোনের সম্পর্কের সারমর্মকে নিখুঁতভাবে ক্যাপচার করে। এই দিনে, ভাই তাঁর বোনের বাড়িতে রাতের খাবারের জন্য যায় এবং বোন ভাইয়ের দীর্ঘায়ু ও সুখ কামনা করে। অনেকেই হয়ত এই উৎসবের গুরুত্ব সম্পর্কে জানেন না, তাই আসুন জেনে নিই ভাইফোঁটার ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় তাৎপর্য।
যমরাজ ও যমুনার পৌরাণিক কাহিনি
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, যমরাজের বোন যমুনা তাঁকে বারবার তাঁর বাড়িতে খাবারের জন্য ডাকতেন, কিন্তু যমরাজ তাঁর কাজে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারতেন না। ভাইফোঁটার দিন যমরাজ তাঁর বোন যমুনার বাড়িতে নৈশভোজের জন্য পৌঁছন। যমুনা পরম মমতায় তাঁর পছন্দের খাবার তৈরি করলেন। এতে যমরাজ তাঁর বোনকে বর দিয়েছিলেন যে এই দিনে যে ভাই তাঁর বোনের বাড়িতে খাবার খাবে, তাঁর সমস্ত অসুবিধা দূর হবে। এই কারণে প্রত্যেক ভাইফোঁটায় প্রত্যেক বোনের বাড়িতে খাবারের জন্য যায় ভাইয়েরা।
এই দিনে, বোন তাঁর ভাইকে তিলক লাগায়, আরতি করে এবং তাঁর হাতে দূর্বা রাখে, যা খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এটা ভাইয়ের প্রতিটি দুঃখ দূর করার প্রতীক। এর সঙ্গে বোন তাঁর ভাইয়ের জন্য যম প্রদীপ জ্বালান। যাতে ভাই দীর্ঘায়ু হয় এবং কোনও প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন না হয়।