বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হবে আজ অর্থাৎ ২৬ মে, বুধবার। এইবার পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে। ভারতীয় সময় অনুসারে, এই গ্রহণের আংশিক পর্ব বিকেল ৩.১৫ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ৬.২২ নাগাদ। তবে সম্পূর্ণ ভারতবর্ষ থেকে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না। কেবল মাত্র দেশের উত্তর-পূর্ব দিকের রাজ্যগুলিতেই দেখা যাবে গ্রহণ।
চন্দ্রগ্রহণের কারণে কোনও প্রকার লাভ বা লোকসান হবে না। তবে গ্রহ নক্ষত্রের গতিবিধি অনুসারে, এই গ্রহণের পরে অতিমারীর প্রভাব হ্রাস পেতে পারে এবং এর কারণে কিছুটা ভৌগলিক উত্থানও হতে পারে।
২৬ মে-র এই চন্দ্রগ্রহণের তথ্য দিয়ে জ্যোতিষ আচার্য পণ্ডিত দীপক মালভ্য জানান যে, ২০২১ সালে মোট চারটি গ্রহণ দেখা যাবে। দুটি চন্দ্রগ্রহণ এবং দুটি সূর্যগ্রহণ। বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের পূর্ণিমা ২৬ মে, বুধবার দুপুর থেকে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে এবং সন্ধ্যায় শেষ হবে।
ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে যে একটি গ্রহণ দেখা যাবে এবং সেখানেই গ্রহণের সূতক এবং ফল পাওয়া যায়। এই গ্রহণটি ৩.১৫ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ৬.২২ নাগাদ।
এই গ্রহণটি যখন সৌরজগতে সংঘটিত হয় তখন গ্রহের অবস্থানগুলি মঙ্গলে থাকবে এবং চাঁদ বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করছে। এই গ্রহণটি বৃশ্চিক রাশি এবং অনুরাধা নক্ষত্রের উপর থাকছে। বৃশ্চিক রাশির জাতকদের গ্রহণের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
জ্যোতিষ আচার্য বলেছেন যে, বৃশ্চিক রাশির এই গ্রহণ দেখা উচিত না এবং গ্রহণের সময় তাঁদের বাড়িতেই থাকা উচিত। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য যেমন ইম্ফল, মণিপুর, আসাম, গুয়াহাটি এবং শিলচরের মতো জায়গায় এই চন্দ্রগ্রহণটি শেষ ২-৪ মিনিট ভাল করে দেখা যাবে। এর বাইরে এটি ভারতের অন্য কোথাও থেকে সেভাবে দৃশ্যমান হবে না। সুতরাং, এর দোষ অন্য কোথাও দেখা যাবে না সেভাবে।
করোনার অতিমারী চলাকালীন চন্দ্রগ্রহণের প্রভাব কতটা থাকবে? এই প্রশ্নের জবাবে জ্যোতিষী দীপক মালভ্য জানান, যে বর্তমানে সৌরজগতে গ্রহণের সময়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মনে করা হচ্ছে যে, ২৬ মে থেকে করোনা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অনেকটা হ্রাস পাবে এই মারণ ভাইরাসের কার্যকারিতা।