ধর্ম নিয়ে দেশে অদ্ভূত সব প্রচলিত ধারণা রয়েছে। কোথাও বছরের নির্দিষ্ট কিছু দিনে মহিলাদের পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে অনেকেই জানেন না দেশে এমন অনেক মন্দির রয়েছে যেখানে পুরুষদের প্রবেশাধিকার নেই। দেখে নিন কোন কোন মন্দিরে মানা হয় এই নিয়ম।
অট্টুকল ভগবন্তী মন্দির, কেরালা
কেরালার ভগবন্তী মন্দিরে অট্টুকল উৎসবে শুধুমাত্র মহিলারাই পুজো দিতে পারেন। এই উৎসবের সময় মহিলারাই একমাত্র উৎসবের সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন।
জেনে আশ্চর্য হবেন, কোনও ধর্মীয় উৎসবে এত বেশি সংখ্যক মহিলাদের অংশগ্রহণ করার জন্য এই উৎসব গিনেস বুকে নাম তুলেছে। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মাঝে ১০ দিন পর্যন্ত উৎসব চলে।
ব্রহ্মা মন্দির, রাজস্থান
দেশের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ব্রহ্মা মন্দির এটি। কোনও বিবাহিত পুরুষের পুজোর জন্য মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশের অনুমতি নেই।
কথিত আছে, দেবী সরস্বতীর সঙ্গে বিয়ে করে একটি যজ্ঞ সম্পন্ন করার সংকল্প করেন ব্রহ্মা। তবে দেবী সরস্বতী দেরি করে আসায় দেবী গায়ত্রীকে বিবাহ করে ব্রহ্মা সেই যজ্ঞ সম্পন্ন করেন। তাতে ক্রুদ্ধ হয়ে দেবী সরস্বতী অভিশাপ দেন, আজকের পর কোনও পুরুষ এই মন্দিরে প্রবেশ করবে না। যদি কেউ জোর করে প্রবেশ করে তবে তাঁর বিবাহিত জীবনে দুঃখ নেমে আসবে।
মাতা মন্দির, মুজফ্ফরনগর
এই মন্দির অসমের কামাখ্য মন্দিরের মতোই একটি মন্দির হিসাবে প্রসিদ্ধ। যখন দেবীর মাসিকের সময় হয় সেই কদিন মন্দিরে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র মহিলারা প্রবেশ করতে পারেন।
দেবী কন্যাকুমারী মন্দির, কন্যাকুমারী
বছরের কোনও দিনই পুরুষদের এই মন্দিরে প্রবেশাধিকার নেই। মন্দিরের দরজা পর্যন্ত কেবলমাত্র সন্ন্যাসীদের যআওযার অনুমতি রয়েছে।
দেশের ৫২টি শক্তিপীঠের অন্যতম এই মন্দির। পুরাণ মতে, দেবী সতীর ডান কাঁধ এবং মেরুদণ্ডের অংশ এখানে পতিত হয়েছিল। মান্যতা অনুযায়ী বিয়ের সময় দেবী পার্বতীর অপমান করেন শিব। তখন থেকেই মন্দিরে পুরুষের প্রবেশাধিকার নেই।
কামাখ্য মন্দির, অসম
প্রতি বছর অম্বুবাচী উপলক্ষে বিরাট মেলার আয়োজন করা হয়। যদিও চার দিন মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে।