বাংলার দুর্গাপুজো ও মহারাষ্ট্রের গণেশ পুজো (Ganesh Puja 2022)। প্রথমজন মা, দ্বিতীয় জন সন্তান। মায়ের পুজোয় বাংলার মানুষ যেমন আনন্দে মেতে ওঠে একইভাবে মুম্বইবাসীর গণেশবন্দনাও অনন্য। মুম্বইয়ের অন্যতম আকর্ষণ হল গণেশ বিসর্জন। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
শোভাযাত্রা-সহ গণপতিকে বিদায় জানানো হয়। তাতে সামিল হন লাখ লাখ মানুষ। বাংলাতে যেভাবে উমাকে বিদায় জানানো হয়, একইভাবে গণপতিকেও চোখের জলে বিদায় জানায় মুম্বইবাসী। (Mumbai Ganesh Puja) রইল তারই কিছু ঝলক। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
বাঙালির দুর্গাপুজোর (West Bengal Durga Puja) মতোই মুম্বইয়েও ধুমধাম সহকারে পালিত হয় গণেশ পুজো। বিসর্জনও হয় মহাসমারোহে। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
দুর্গাকে বিদায় জানানোর সময় বাঙালির আবেগ যেমন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়, গণেশ বিসর্জনের ক্ষেত্রেও একইরকম আবেগ দেখা যায় মহারাষ্ট্রজুড়ে। (Mumbai Ganesh Visarjan)
মুম্বই ও পুণের গণেশ পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হল বিসর্জন। এক বা দুদিন নয়, এবার টানা ১০ দিন ধরে বিসর্জনের পর্ব চলেছে। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
গত ৩১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছিল বিসর্জন। যা শেষ হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার। প্রতিবারের মতো এবারও শোভাযাত্রা সহকারে গণপতি বাপ্পার নিরঞ্জন করা হয়েছে। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
জুহু বিচ, গিরগাঁও, চৌপট্টি ও কলোনির লেকে গণপতি-বিসর্জন দেখার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
৯ সেপ্টেম্বর গণেশ বিসর্জনের শুভ সময় ছিল সকাল ৬ টা থেকে ১০.৪৪ মিনিট পর্যন্ত ও সন্ধ্যায় ৫ টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। এই দুই সময়ই বিসর্জনের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
গণপতি বিসর্জনের জন্য মুম্বই পুলিশের তরফে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জারি করা হয়েছিল একাধিক নির্দেশির্কাও। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
সব মিলিয়ে ৭৪টি সড়কে মোটরযান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ৫৪টি রাস্তায় যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া ও ৫৭টি সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
শহরজুড়ে ১১৪ স্থানে পার্কিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
শহরজুড়ে ৪০ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। বাতিল করা হয়েছিল সব পুলিশকর্মীর ছুটিও। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
এক পুলিশকর্তা জানান, স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা এলাকায় টহল টহল দেন। SRPF-এর ৮ কোম্পানি, র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ১ কোম্পানি এবং ফোর্স ওয়ানের ১টি করে কোম্পানি মোতায়েন ছিল। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
এছাড়াও ৭৫০ জন হোম গার্ডও নিযুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি ২৫০ জন পুলিশকর্মীকে শুধু নাগরিকদের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কুইক রেসপন্স টিম, ডগ স্কোয়াডে মুড়ে ফেলা হয়েছিল বাণিজ্য নগরি। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
তবে কত মূর্তির বিসর্জন হয়েছে সেই তথ্য এখনও সামনে আসেনি। উৎসবের পঞ্চম দিনে মোট ৩১ হাজার মতো মূর্তি মুম্বইয়ের সমুদ্র এবং কৃত্রিম পুকুরে বিসর্জন করা হয়েছিল। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
সোমবার বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) একজন আধিকারিক জানিয়েছিলেন, মুম্বাইয়ের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত কৃত্রিম পুকুরে ১২ হাজারেরও বেশি মূর্তির বিসর্জন হয়েছিল। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
করোনার জেরে দুই বছর পর সেইভাবে গণেশ পুজো হয়নি। পুজো হলেও মানুষের ভিড় সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে এবার নিয়ম শিথিল হতেই রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
করোনার জেরে দুই বছর পর সেইভাবে গণেশ পুজো হয়নি। পুজো হলেও মানুষের ভিড় সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে এবার নিয়ম শিথিল হতেই রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
কিন্তু গণপতি বাপ্পার বিদায়ের পালা আসতেই ভক্তদের হৃদয় ভারাক্রান্ত ছিল। মুম্বইয়ের বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে শোভাযাত্রা করে বিসর্জনের জন্য গণপতিকে নিয়ে যাওয়া হয়। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)
চোখের জলে গণপতিকে বিসর্জন দেয় মুম্বইবাসী। (ছবি সৌজন্যে : বিশিষ্ট স্ট্রিট ফটোগ্রাফার দেব লাহিড়ি)