দূর্গাপুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। ইতিমধ্যেই নিশ্চয়ই সবারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড়-জুতো কেনাও শুরু করে দিয়েছেন বেশিরভাগ বাঙালি। পুজোর চার দিন তো বটেই, এখন পুজোর দিন বাড়তে বাড়তে বা পিছোতে পিছোতে পঞ্চমী থেকে চতুর্থী, তৃতীয়া থেকে দ্বিতীয় হয়ে প্রথমা পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগ বাজেটের অনেক পুজোই প্রথমার দিন খুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে অবাঙালিদের মধ্যে আবার প্রথমা থেকে নবরাত্রি পালনের রীতি রয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে এখন দেবীপক্ষের সূচনা থেকেই পুজোর উৎসব শুরু হয়ে যায়। শাস্ত্র অনুসারে এই দুর্গাপুজো বা নবরাত্রিতে রংয়ের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বলা হয় যে এই সময়ে নটি রং মা দুর্গার প্রত্যেকটি রূপকে সমর্পণ করা হয়। যদি মায়ের কৃপা চান, তাহলে কোন দিন কোন রঙের পোশাক পড়তে হবে সেটি জেনে নিন। তাহলে মা-দুর্গার সম্পূর্ণ কৃপা লাভ করতে পারবেন।
প্রথমা
দেবীপক্ষের সূচনার প্রথম দিন প্রথমা। নবরাত্রিরও এটি প্রথম দিন। প্রথমায় দিন মা শৈলপুত্রীর পুজো করা হয়। এদিন হলুদ রঙের বস্ত্র ধারণ করতে বলা হয়। বলা হয় যে হলুদ রঙের বস্ত্র ধারণ করে পুজো পাঠ করলে সৌভাগ্য প্রাপ্ত হয়।
দ্বিতীয়া
এদিন পুজো করা হয় মা ব্রহ্মচারিণীর রূপকে। এই দেবীর সবুজ অত্যন্ত পছন্দের রং। এ কারণে এই দিন সবুজ রঙের পোশাক পরা উচিত বলে পরামর্শ দেওয়া হয়। তাহলে মায়ের কৃপা বজায় থাকে।
তৃতীয়া
নবরাত্রির বা দুর্গাপুজার তৃতীয়ার দিন মা চন্দ্রঘন্টার পুজো করা হয়। এই দিন আপনি খয়েরি রঙের পোশাক পড়ুন তাহলে মা দুর্গা খুশি হবেন।
চতুর্থী
এ দিন চতুর্থীর দিন মা কুষ্মান্ডার পুজো করা হয়। মা কুষ্মাণ্ডার পছন্দের রং গেরুয়া। এদিন কমলা বা গেরুয়া রঙের পোশাক পড়ুন।
পঞ্চমী
এদিন মাছ স্কন্দমাতার পুজো করা হয় এবং এদিন সাদা রঙের পোশাক পরা শুভ বলে মনে করা হয়। তাহলে মায়ের কৃপা বজয়া থাকে।
ষষ্ঠী
ষষ্ঠীর দিন মা কাত্যায়নীর পুজো করা হয়। এদিন লাল রঙের পোশাক পরা শুভ। তাতে মায়ের কৃপা বজায় থাকে।
সপ্তমী
সপ্তমীর দিন কালরাত্রির পুজো করা হয়। এদিন মাকে তুষ্ট করতে হলে নীল রংয়ের পোশাক পরিধান করা অত্যন্ত শুভ।
অষ্টমী
অষ্টমীর দিন মহাগৌরি পুজো করা হয় এবং গোলাপি রং এ দিন মাকে সন্তুষ্ট করার জন্য সবচেয়ে ভালো পোশাক। এদিন গোলাপি রঙের পোশাক পরে মায়ের পুজো করুন।