ভারতীয় সংস্কৃতিতে শঙ্খ অতি গুরুত্বপূর্ণ। পুরাণ ও শাস্ত্র অনুসারে শঙ্খধ্বনি অত্যন্ত মঙ্গলময়। বাস্তুশাস্ত্র আনুযায়ী শঙ্খধ্বনিতে কেটে যায় নেতিবাচকতা।
বাস্তু শাস্ত্র বলছে, শঙ্খের কারণে ঘরে পজেটিভ এনার্জি আসে। বলা হয়, যে বাড়িতে শঙ্খ আছে, লক্ষ্মী সেখানে বিরাজমান। লক্ষ্মীর মতো শঙ্খেরও উৎপত্তি সমুদ্র থেকেই। সমুদ্র মন্থনের সময় যে ১৪টি রত্ন পাওয়া গিয়েছিল তার মধ্যে শঙ্খও ছিল।
যদি বাড়িতে বাস্তু দোষ থাকে তবে ঘরের কোণে শঙ্খ রাখলে তা কেটে যায়। ধন প্রাপ্তি হয়। শঙ্খধ্বনিতে গৃহে আসে সুখ ও সমৃদ্ধি।
শঙ্খ জয়, সুখ সমৃদ্ধি, খ্যাতি, যশ, লক্ষ্মী ও শব্দের প্রতীক। শঙ্খ অনেক প্রকারের হয়। তার মধ্যে ৩ প্রকারের শঙ্খের ব্যবহার বেশি।
শঙ্খে জল ভরে ইশান কোণে রাখলে পরিবারে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত হয়। যদি পরিবারের কোনও শিশু পড়াশোনায় দুর্বল থাকে তবে শঙ্খে জল ভরে পান করালে বুদ্ধির বিকাশ হয়। শঙ্খের ধ্বনিতে কেটে যায় নেতিবাচকতা। বৈবাহিক সম্পর্কে পারস্পরিক বোঝাপড়া ভাল থাকে। ইশান কোণে শঙ্খ বাজালে কেটে যায় বাস্তু দোষ। শঙ্খের শব্দে মনে আধ্যাত্মিক চেতনা বাড়ে। শঙ্খের পুজোয় মনের ইচ্ছে পূরণ হয়।