নিষ্ঠাভরে নমা লক্ষ্মীর আরাধনার সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন বাড়ির মহিলারা। গোধুলীবেলায় হবে কোজাগরি লক্ষ্মীপুজো। মা লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করতে পাঁচালি পাঠ করা হবে সন্ধ্যায়। কিন্তু পাঁচালি পাঠের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে জানেন তো?
সব পুজোরই কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। সেই নিয়ম মেনে পুজো করলেই ভক্তের উপর প্রসন্ন হন দেবতা। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোরও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। তার মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য পাঁচালি পাঠ।
পুজোর শেষে পাঁচালি পাঠ লক্ষ্মীপুজোর একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর ফলে লক্ষ্মী দেবী তুষ্ট হন।
লক্ষ্মী আরাধনার সমস্ত মন্ত্র লেখা থাকে পাঁচালিতে। মা লক্ষ্মীর আহ্বান মন্ত্র পাঠ করে মায়ের ঘটে বা চরণে ফুল দিয়ে পুজো অর্চনা শুরু করেন মা ঠাকুমারা।
হাতে ফুল নিয়ে পাঁচালিতে বসতে হয়। পাঁচালি পাঠ শেষ হলে শঙ্খ বাজিয়ে মায়ের আরতি করতে হয়।
লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠ করা ছাড়াও ১০৮ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতে হয়। বাড়িতে দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ স্থাপন করলে খুবই শুভ মনে করা হয় সেটি।
দেবীর পায়ের সামনে পাঁচটি কড়ি রেখে পুজো করান এবং সেই কড়িগুলো ক্যাশবাক্সে রেখে দিন, এর ফলে সংসারে সমৃদ্ধি আসবে মনে করা হয়।
কচ্ছপ স্থায়িত্ব, দীর্ঘায়ু এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। ঘরে স্বচ্ছ কচ্ছপের মূর্তি রাখলে বাস্তুদোষ কেটে যায়। জলে ভরা কাঁচের পাত্রে কচ্ছপ রেখে পাত্রটি উত্তরদিকে রেখে দিতে হবে।
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজায় গোবিন্দভোগ চালের পায়েস তৈরি করে তা সন্ধেবেলায় চাঁদের আলোয় রাখুন। সারারাত পায়েসের পাত্র একটি জাল দিয়ে ঢেকে রাখুন, যাতে পোকামাকড় না পড়ে। পরের দিন ওই পায়েস বাড়ির সবাই মিলে খান। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এতে শরীর সুস্থ থাকে ও আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি হয়।
এই দিনে পাঁচটি কুমারী মেয়েকে তাঁদের পছন্দমতো কিছু উপহার দিলে লক্ষ্মী দেবী প্রসন্ন হন। সঙ্গে যদি সম্ভব হয় এই দিন গঙ্গায় স্নান করুন, এতে পুণ্য লাভ করা যায়।