বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে আগামী ১৪ ডিসেম্বর। ভারতীয় সময় সন্ধে ৭টা ৩ মিনিট থেকে রাত ১২টা ২৩ পর্যন্ত চলবে এই গ্রহণ। তবে গ্রহণ ভারত থেকে দেখা যাবে। এই গ্রহণ দেখা যাবে, দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল, দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহসাগর, ভারত মহাসাগর এবং অ্যান্টার্কটিকা থেকে। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল।
যেহেতু গ্রহণ ভারত থেকে দৃশ্যমান হবে না তাই এবার সুতকের নিয়ম মানতে হচ্ছে না। একইসঙ্গে মাঙ্গলিক কাজেও থাকছে না কোনও বাধা। খোলা রাখা যাবে মন্দিরের দরজা, করা যাবে পুজোপাঠ।
এই নিয়ে চলতি বছরে মোট ৬টি গ্রহণ হতে চলেছে। তার মধ্যে ৪টি চন্দ্রগ্রহণ এবং ২টি সূর্যগ্রহণ। এটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে এবারের গ্রহণ বৃশ্চিক রাশি জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র লাগবে। তাই এই সময় বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকাদের খুব সাবধানে থাকা এবং সূর্যদেবের আরাধনা করার পরামর্শ দিচ্ছে জ্যোতিষশাস্ত্র।
ভারত থেকে সরাসরি এই গ্রহণ দেখা যাবে না। তবে www.virtualtelescope.eu সাইটে ভার্চুয়ার টেলিস্কোপের সাহায্যে এবং ইউটিউব চ্যানেল CosmoSapiens, Slooh - এ লাইভ দেখা গ্রহণ। প্রসঙ্গত চাঁদ যখন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে এবং সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছতে পারে না তখন তাকে বলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। চাঁদ যখন সূর্যকে আংশিক ঢেকে দেয় এবং সূর্যের একটি অংশ দেখা যায় তখন তাকে বলে আংশিক সূর্যগ্রহণ। আর চাঁদ যখন সূর্যের মাঝের অংশ ঢেকে দেয় এবং সূর্যকে একটি রিং-এর মত দেখতে লাগে তখন তাকে বলে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ।
কোনও সুরক্ষা ছাড়াই সূর্যগ্রহণ দেখলে আপনার চোখের ক্ষতি হতে পারে। সেই জন্য গ্রহনের সময় অবশ্যই বিশেষ ধরনের চশমা পড়ুন। গ্রহণের সময় ছুরি বা কোনও ধারালো জিনিস ব্যবহার করবেন না। পাশাপাশি খাওয়াদাওয়াও এড়িয়ে চলুন। এই সময়ে আপনি আদিত্য হৃদয় স্তোত্র পাঠ করতে পারেন। এছাড়া গ্রহণের কুপ্রভাব এড়াতে মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করুন। গ্রহনের পরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ঘর পবিত্র করুন। যদি সূর্যগ্রহণের পরের দিন ধনু সংক্রান্তি থাকে তবে তামার কোনও জিনিষ, গম, গুড় বা লাল কাপড় দান করতে পারেন।