Neem Karoli Baba: বিরাট কোহলি থেকে জুকারবার্গ, নিম করোলি বাবার পরম ভক্ত এই জনপ্রিয় তারকারা

নিম করোলি বাবাকে অনেকেই হনুমানজির অবতার বা হনুমানজির পরম ভক্ত বলে মনে করেন। 
 

তাঁর পুরো জীবন অন্যের ভাল করতে গিয়েই কেটে গিয়েছে। 
 

উত্তরাখণ্ডে তাঁর আশ্রমে আজও ভক্তদের ভিড় হয় প্রতিদিন। 
 

সেই ভক্তদের ভিড়েই লুকিয়ে রয়েছে বিশ্বের কিছু জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। যাঁরা নিম করোলি বাবাকে ভীষণভাবে মেনে চলেন। 
 

অ্যাপেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ১৯৭৪ সালে প্রথম নিম করোলি বাবার আশ্রমে গিয়েছিলেন।  নিম কারোলি বাবার শিক্ষা এবং সরল জীবন তাঁকে প্রাভাবিত করে। এই সাক্ষাৎ পরবর্তীতে অ্যাপলের নকশা  কর্মপ্রবাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হয়ে ওঠে।
 

ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ ২০১৫ সালে নিম করোলি বাবার কাইঞ্চি ধাম আশ্রম পরিদর্শন করেন। এখানেই তিনি প্রথম করুণা, দয়া এবং মানবতার সেবার গভীর অর্থ বুঝতে পেরেছিলেন। এই চিন্তাভাবনা তাকে দরিদ্রদের জন্য কোটি কোটি টাকা দান করতে এবং তার সামাজিক দায়িত্বকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে নিতে পরিচালিত করেছিল। বলা হয় যে নিম করোলি বাবার বার্তা তাঁর জীবনকে নব রূপ দিয়েছিল। 
 

জুলিয়া রবার্টস একজন বিখ্যাত হলিউড অভিনেত্রী। ১৯৯০ সালে তিনি নিম কারোলি বাবার সাথেও দেখা করেছিলেন। নিম কারোলি বাবার করুণাপূর্ণ এবং প্রেমময় শিক্ষা তাঁকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছিল। হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার পিছনে নিম করোলি বাবা ছিলেন মুখ্য কারণ। 
 

২০১৮ সালে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলিও নিম করোলি বাবার আশ্রম পরিদর্শন করেছিলেন। বাবার আধ্যাত্মিক শক্তি এবং শিক্ষা তাকে গভীরভাবে প্রাভাবিত করেছিল। কোহলি বলেছিলেন যে নিম কারোলি বাবার শিক্ষা তাকে মনোযোগ, ভারসাম্য এবং মনোযোগী থাকার শক্তি দিয়েছে। ফলস্বরূপ, তিনি তার আত্মবিশ্বাস এবং কর্মক্ষমতা উভয় ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে পেয়েছেন।
 

১৯৬০ সালে একজন বিখ্যাত আমেরিকান আধ্যাত্মিক নেতা রাম দাসও নিম কারোলি বাবার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বাবার সাথে তার সাক্ষাৎ তার জীবনের গতিপথ সম্পূর্ণরূপে বদলে দেয়। বলা হয় যে বাবার শিক্ষা রাম দাসের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। 
 

১৯৭০ সালে একজন বিখ্যাত আমেরিকান লেখক এবং মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল গোলম্যান নিম কারোলি বাবার আশ্রম পরিদর্শন করেছিলেন। প্রেম, করুণা এবং মানসিক ভারসাম্য সম্পর্কে বাবার শিক্ষা তাঁকে গভীরভাবে প্রাভাবিত করেছিল। এই অনুপ্রেরণা তার চিন্তাভাবনা এবং লেখায় প্রতিফলিত হয়। পরে তিনি আবেগগত বুদ্ধিমত্তার উপর বেশ কয়েকটি বই লিখেছিলেন, যা আধুনিক মনোবিজ্ঞানের দিক পরিবর্তন করেছিল।