সনাতন ধর্ম অনুযায়ী পুজোর সময় শঙ্খের ব্যবহার খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি অত্যন্ত পবিত্র একটি রীতি। বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যা শঙ্খ বাজালে নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয় এবং ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়।
ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীরও শঙ্খ অত্যন্ত প্রিয়। শঙ্খের জল নিবেদন করলে ভগবান বিষ্ণু প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন।
সনাতনী ও ধর্মীয় দিকের পাশাপাশি বাস্তু মতেও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে শঙ্খের। বাস্তুশাস্ত্রেও অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শঙ্খকে।
আরও পড়ুন - শীতে লাগবে না ঠান্ডা-ত্বকও থাকবে সুন্দর, একটি ফলেই হবে বাজিমাত
সমুদ্র মন্থনে পাওয়া যায় শঙ্খ
মনে করা হয়, যখন দেবতা এবং অসুরদের মধ্যে সমুদ্র মন্থন হয়েছিল, তখন প্রচুর মূল্যবান রত্ন পাওয়া গিয়েছিল। তারমধ্যে একটি শঙ্খও ছিল। শঙ্খের পুজো এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত নিয়মগুলিও শাস্ত্রে উল্লিখিত রয়েছে। তাই শঙ্খ সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
শুভ ফলদায়ক
বাড়িতে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করার সময় অবশ্যই শঙ্খ ব্যবহার করুন। এটি অত্যন্ত শুভ ও ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় যে শঙ্খের ধ্বনি দেবতাদের প্রসন্ন করে এবং তার ফলে দেবতারা ভক্তদের ইচ্ছা পূরণ করেন।
দক্ষিণবর্তী শঙ্খ
পুজোর ঘরে শঙ্খ রাখা খুবই শুভ। তাতে মা লক্ষ্মীর অধিবাস হয়। দক্ষিণবর্তী শঙ্খ অত্যন্ত শুভ ও ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। সকাল-সন্ধ্যা শঙ্খ বাজানোর ফলে ঘরে উপস্থিত অশুভ শক্তি নাশ হয় এবং ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়।