Advertisement
ধর্ম

Shantipur Bama Kali: শান্তিপুরের রাস্তায় বামাকালীর নাচ, দেখতে হাজার হাজার ভক্তের ভিড়; PHOTOS

Shantipur Bama Kali
  • 1/10

ভাঙা রাসের জন্য বিখ্যাত নদিয়া জেলার শান্তিপুর। কিন্তু শুধু রাসই নয়, কালীপুজোর জন্যও বিখ্যাত শান্তিপুর। এখানকার বামাকালীর নৃত্য সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে।
 

Shantipur Bama Kali
  • 2/10

শান্তিপুরের কালীপুজো মানেই এক অন্যরকম অনুভূতি। এখানে নেই কোটি টাকার ঝাঁ-চকচকে প্যান্ডেল, নেই চটকদার আলোকসজ্জা—তবু লক্ষ লক্ষ মানুষ সারারাত ধরে কালীমায়ের টানে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। শান্তিপুরের কালীপুজোর মূল আকর্ষণ হল ইতিহাস, ভক্তি এবং প্রাচীন ঐতিহ্য। প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো প্রতিমা আজও ভক্তদের হৃদয়ে গর্বের অনুভূতি বয়ে আনে।
 

Shantipur Bama Kali
  • 3/10

 শান্তিপুরের বামা কালী পুজোয় কালী প্রতিমাকে একটি বাঁশের মাচায় স্থাপন করা হয়। এরপর অগণিত ভক্তরা সেই মাচাটি কাঁধে নিয়ে লাফাতে শুরু করেন, যার ফলে মনে হয় যেন স্বয়ং মা ভক্তদের মাঝে নাচছেন। এই উদ্দাম নৃত্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ভিড় জমান। 
 

Advertisement
Shantipur Bama Kali
  • 4/10

জগন্নাথদেব যেমন ভক্তদের ডাকে সাড়া দিয়ে বছরের একটি বিশেষ দিন নিজের মন্দির ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ভক্তদের মধ্যে, ঠিক তেমনই শান্তিপুরের বামাকালীকে নিয়ে রীতিমতো নাচ গান হয় পথ জুড়ে। তবে শুধু ভক্তরা নন, ভক্তদের সঙ্গে মা নিজেও নাচেন। এই অসাধারণ দৃশ্য দেখার জন্য বহুদূর থেকে মানুষ আসেন শান্তিপুরে।
 

Shantipur Bama Kali
  • 5/10

 শান্তিপুরের অন্যান্য পুজো বেশ কিছুদিন চললেও বহু বছরের ঐতিহ্য মেনে পুজোর পরের দিনেই বিসর্জনের আয়োজন করা হয় বামাকালীর। রাতের অন্ধকারে মায়ের এই নাচ দেখলে যেন গায়ে কাঁটা দেয়। ভক্তদের হাতে জ্বলতে থাকা মশালের আলোয় মাকে যেন দেখতে লাগে অপরূপা।

Shantipur Bama Kali
  • 6/10

শান্তিপুরে প্রতি বছরই এই দৃশ্য দেখা যায়। আর নাচ দেখতে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ মানুষ। পুজোর পর অঞ্জলি হয়ে গেলে মায়ের মূর্তিকে মণ্ডপের বাইরে নিয়ে আসা হয়। বিসর্জনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়‌। এরপর ঘাট পর্যন্ত নিয়ে যেতে যেতে নাচের আয়োজন। মায়ের মূর্তি একটি বাঁশের মাচায় করে ঘাড়ে বয়ে নিয়ে চলেন ভক্তরা। তাদের পিছন পিছন আরো অগণিত ভক্তের ঢল নামে। কাঁধে বাঁশ থাকা অবস্থাতেই লাফিয়ে লাফিয়ে নাচের ভঙ্গি করেন ভক্তরা। ফলে নেচে ওঠেন মা কালীও। দূর থেকে ক্যামেরাবন্দি এই দৃশ্য দেখতে অভূতপূর্ব। প্রতি বছর শুধু এই দৃশ্য দেখতে শান্তিপুরে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান।
 

Shantipur Bama Kali
  • 7/10

শান্তিপুরের বামাকালীর পুজোর পরদিনই এই নাচ হয়। অর্থাৎ বিসর্জনের আয়োজন পুজো শেষ হলেই শুরু হয়ে যায়‌। অন্য সব স্থানেই পুজো ৪-৫ দিন ধরে চলে। কিন্তু শান্তিপুরের ঐতিহ্য পুজোর পরদিনই বিসর্জন দেওয়া। তাই আজও সেই রীতি মেনে বিসর্জন হয় মায়ের। আর তার আগেই এই নাচের মনোহর দৃশ্য দেখা যায়। মা কালীর নাচ মানেই যেন তাণ্ডব। এমন এক ধারণা কমবেশি অনেকেই জানেন। কিন্তু বামাকালীর নাচ দেখলে মনে হবে, তিনি আমাদের ঘরের কন্যা। নাচের বিভঙ্গিতে হর্ষের ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে। ভক্তদের হাতে থাকে মশাল‌। সেই মশালের আলোই আলো জোগায় মায়ের বিসর্জনের পথে।
 

Advertisement
Shantipur Bama Kali
  • 8/10

বামাকালীর নাচ ঘিরে উন্মাদনা এতটাই তুঙ্গে থাকে যে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়‌। এই হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। তবে তেমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য ব্যবস্থাও করা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে।
 

Shantipur Bama Kali
  • 9/10

বামা কালী বলা হয় কারণ, শিবের বুকে বাঁ পায়ে দাঁড়িয়ে থাকেন এই কালী। সেই থেকেই এই নাম দেওয়া হয়েছে শান্তিপুরের এই কালীকে। তাঁর রুদ্র রূপ এবং সুবিশাল চেহারা শিহরণ জাগায় দর্শনার্থীদের শরীরে। 
 

Shantipur Bama Kali
  • 10/10


শান্তিপুরে বামা কালীর বিসর্জনের দিন নিভিয়ে দেওয়া হয় পথের সব আলো। ৫০০ বছর ধরে চলে আসা এই ঐহিত্যবাহী পুজোর বিসর্জনে জ্বলে উঠত মশাল। ভিড় করে থাকতেন ভক্তরা। তারপরই শুরু হত সেই সুবিশাল কালীমূর্তিকে নিয়ে নাচ। ভয়ঙ্কর সুন্দর বলে ভক্তরা আখ্যা দিয়েছেন এই বিসর্জন শোভাযাত্রায় মায়ের নৃত্যকে। এখনও মশাল জ্বালার সেই রীতি রয়েছে শান্তিপুরের বামা কালীর বিসর্জনে। তবে সংখ্যায় কমেছে। বেড়েছে মোবাইলের আলোর ব্যবহার।


 

Advertisement