জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য মৃত্যু, যা কেউ এড়াতে পারে না। যার জন্ম হয়েছে তার মৃত্যুও সুনিশ্চিত। প্রত্যেক মানুষের মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু অকাল মৃত্যুকে ঈশ্বরের শাস্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কথিত আছে যে, প্রাণীর প্রকৃত মৃত্যুর সময় না আসা কোনও কিছুতেই প্রাণ হারানোর ঘটনা ঘটবে না। মৃত্যু কখন আসবে এবং কে তাকে নিয়ে যাবে, তা কেউ জানে না।
কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মানুষের মৃত্যুর আগে থেকেই তার সামনে নানা ধরনের লক্ষণ, ইঙ্গিত সামনে আসতে শুরু করে। এই লক্ষণগুলি শিব পুরাণে মা পার্বতীকে বলার সময়ও উল্লেখ করেছেন।
শিব পুরাণে বলা হয়েছে, মৃত্যুর কয়েক মাস আগে মানুষের জিহ্বা ঠিকমতো কাজ করা বন্ধ করে দিলে সে খাবারের সঠিক স্বাদ পায় না। কথা বলতেও কষ্ট হয়।
যখন একজন ব্যক্তি চাঁদ, সূর্য এবং আগুনের আলো দেখতে অক্ষমতা অনুভব করতে শুরু করে, তখন এটি একটি লক্ষণ যে জীবনের মাত্র কয়েকটি মুহূর্ত বাকি রয়েছে। কথিত আছে যে মানুষ যখন মৃত্যুর কাছাকাছি আসে তখন চাঁদ ও সূর্যকে স্বাভাবিকভাবে দেখতে পায় না।
শিবপুরাণে ভগবান শিবের মতে, যখন কোনও ব্যক্তির গায়ের রং ফ্যাকাশে হলুদ বা সাদা হতে শুরু করে, এটি নির্দেশ করে যে ব্যক্তির মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে।
আপনি যদি আপনার ছায়া দেখতে না পান তবে এটি নিকটবর্তী মৃত্যুর সূচক হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, একজন বয়স্ক ব্যক্তি যখন ধড় ছাড়াই তার ছায়া দেখতে শুরু করেন, তখন সেই ব্যক্তির খুব তাড়াতাড়ি মৃত্যু হতে চলেছে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যে ব্যক্তির মুখ, জিহ্বা, চোখ, কান এবং নাক পাথরের মতো অনুভব করতে শুরু করে, তখন এটি ব্যক্তির অকাল মৃত্যুর লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।