Holi 2022: 'কী স্থান মাহাত্ম্য মশাই, কেমন যেন ভক্তিভাব জেগে উঠছে!' 'জয়বাবা ফেলুনাথ' ছবিতে কাশী (Kashi) দেখে আপ্লুত হয়ে বলেই ফেলেছিলেন জটায়ু ওরফে লালমোহন গাঙ্গুলি। ছবি ও তথ্য: পাণিনি আনন্দ
এমনিতেই বিশ্বের যত প্রাচীন শহর রয়েছে, তার মধ্যে বারাণসী (Varanasi), কাশীর ইতিহাস, ঐতিহ্য জাতি-ধর্মের ঊর্ধ্বে। প্রাচীন ভারতভূমের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে আদি-অনন্তকাল। এহেন বারাণসীতে হোলি উত্সবও অন্যমাত্রা পায় প্রতিবছর।
বেনারসে মনিকর্নিকা ঘাট কাশী বিশ্বনাথের থেকেও প্রাচীন। এই হোলির আরও একটি বিশেষত্ব হল, শিবের সবচেয়ে প্রিয় হোলি এটাই। কথিত আছে, শিব নিজে তাঁর ভক্তদের হোলি খেলার অনুমতি দেন।
১৫ মার্চ থেকেই বেনারসে হোলি শুরু হয়ে গেল। সকাল থেকেই ভক্তরা হোলিতে মেতে উঠেছেন। তবে একটা বিষয় তাত্পর্যপূর্ণ, আগে অঘোরি, নাগা সন্ন্যাসীদের যে ভিড় দেখা যেত, এবারে তা দেখা যাচ্ছে না।
বলা হয়, মনিকর্নিকা ঘাটের শ্মশানের ভস্ম, ধুলো ৩৬৫ দিনই মানুষের অভিষেক করে। মনিকর্নিকা ঘাট হাজার হাজার বছর ধরে কখনও শান্ত হয়নি। সব সময়ই চিতা জ্বলে। হোলির সময়েও প্রতি দু তিন মিনিটে দেহ আসছে দাহ করার জন্য।
বেনারসের এই হোলিতে যে রং ব্যবহার হয়, তা আসলে যজ্ঞের ছাই কিংবা অঘোরি সন্ন্যাসীদের ধুনোর ছাই বা চিতার ছাইভস্ম দিয়ে তৈরি হয়। চিতার ছাইভস্মেই এই হোলি খেলা হয়।
পুরাণ অনুযায়ী, কাশীর মণিকর্নিকা ঘাটে মোক্ষদান করেন ভগবান শিব। কাশী বিশ্বের একমাত্র শহর, যেখানে মৃত্যুকে শুভ হিসেবে দেখা হয়।
বলা হয়, রংভরী একাদশীর দিন দেবতা ও ভক্তদের সঙ্গে মহাদেব হোলি খেলেন। কিন্তু ভূতপ্রেত, পিশাচরা ওই হোলি খেলতে পারে না। পরের দিন মণিকর্নিকা ঘাটে স্নান করতে এসে চিতাভস্মে হোলি খেলেন।
কথিত আছে, ভগবান ভোলানাথ সবাইকে তাঁর মন্ত্রে দীক্ষিত করেন। তাই শ্মশানের এই হোলিতে অংশ নেওয়া সৌভাগ্য মানা হয়।