বাস্তু সাধারণত দিক বিজ্ঞান হিসাবে বিবেচিত হয়। বাস্তুর ঠিক ও ভুলের ওপর নির্ভর করে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। বাস্তুশাস্ত্রে রান্নাঘর একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। জ্যোতির্বিদ কমল নন্দলালের মতে, রান্নাঘরের কোনও ছোট ভুলও কোনও ব্যক্তির দারিদ্রতার কারণ হতে পারে।
বাস্তু মতে ঈশ্বর কেবল বিশুদ্ধ ও পবিত্র স্থানে বিরাজ করেন। বাড়িতে থাকা স্তূপাকারে জিনিস নেতিবাচকতা বহন করে। এ কারণেই বলা হয় যে জুতোর র্যাকও দরিদ্রতার কারণ হতে পারে।
বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী রান্নাঘর বাড়ির অন্যতম প্রধান অংশ এবং বাস্তু দোষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রান্নাঘরেই পাওয়া যায়। কারণ প্রকৃতির বেশিরভাগ উপাদান যেমন- জল, আগুন, বাতাস এই সমস্তই রান্নাঘরে পাওয়া যায়।
এছাড়াও রান্নাঘরে পাত্রে রাখা কিছু শস্য পৃথিবীর উৎস হিসাবে বিবেচিত। অনেকে বিশ্বাস করে যে রান্নাঘর এত পবিত্র যে তারা এর নিকটে ঠাকুরের আসনও রাখেন। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল।
অনেকে রাতের বেলা রান্নাঘরে আটা রেখে ,সকালে ধুয়ে ফেলেন। রাতে পড়ে থাকা এঠো বাসন বাড়ির সদস্যদেরও প্রভাবিত করে। এটি আপনার দারিদ্র্যের কারণও হতে পারে।
বাস্তুশাস্ত্র মতে, কোনও ব্যক্তি যদি জমে থাকা পাত্র ধুতে না পারেন তবে তাঁর জীবনে সাফল্যের ক্ষেত্রেও অনেক বাঁধার মুখোমুখি হতে হয়। বাস্তুশাস্ত্রে রান্নাঘরে পরিষ্কার বাসনপত্র রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
রাতে রান্নাঘরে নোংরা বা এঠো খাবার রেখে দিলে অনেক ধরণের ব্যাকটেরিয়াও বৃদ্ধি পায়। এটি শারীরিক ক্ষতি করে এবং মানসিকভাবেও এটি নেগিটিভিটি তৈরি করে।
রান্নাঘরে রাখা কাঠের বাসন থেকেও বাস্তু দোষ উৎপাদিত হয়, এই বাস্তু দোষ আগুনে তৈরি হয়। এটি পরিবারের উপার্জনশীল সদস্যের জীবনে প্রভাব ফেলে।
ভারতের বেশিরভাগ স্থানে ময়দা ব্যবহৃত হয়। এমন পরিস্থিতিতে বেলন-চাকতি অনেক ক্ষতি করে। যদি কোনও পাত্র পড়ে থাকে তবে তার ভিতরে ব্যাকটিরিয়া জন্মায়। এই বাস্তু ত্রুটির কারণে বাড়িতে অসুস্থতা লেগেই থাকে, বাড়ির সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয় এবং লক্ষ্মী বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।