অনেক ক্ষেত্রেই লোকেরা ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন ধরণের মূর্তি রাখতে পছন্দ করেন। সেটি ঈশ্বর প্রতিমা কিংবা বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তিও হতে পারে। তবে আপনি কি কখনও ভেবেছেন যে এই মূর্তিগুলি বাড়িতে রাখার পিছনে কোনও বাস্তু দোষও থাকতে পারে। ভুল মূর্তি বাড়িতে রাখলে আপনার জীবনে নেতিবাচক প্রভাব বয়ে আনবে সেটি। তাহলে আসুন জেনে নি বাস্তু অনুসারে কোন মূর্তিগুলি বাড়িতে রাখা শুভ।
হাতি
বাস্তু অনুসারে, হাতিকে ধৈর্য্যের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই কারণে, ঘরে রৌপ্য বা পিতলের হাতির মূর্তি রাখা শুভ। বাস্তু শাস্ত্র মতে বেডরুমে রৌপ্য হাতির প্রতিমা রাখলে রাহুর সমস্ত ত্রুটি দূর হয়। ফেং শ্যুইয়ের মতে, একটি হাতির ছবি বা মূর্তি বাড়িতে রাখলে পজিটিভ এনার্জি আসে এবং সম্পদ ও সমৃদ্ধি হয়।
কচ্ছপ
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, কচ্ছপ ভগবান বিষ্ণুর একটি রূপ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে যেখানে কচ্ছপ থাকে, সেখানে দেবী লক্ষ্মী বিরাজ করেন। ফেং শ্যুই অনুসারে, এতে পজিটিভ এনার্জি আসে। বাড়ির পূর্ব এবং উত্তর দিকে কচ্ছপ স্থাপন করা খুব মঙ্গলজনক। ড্রয়িং রুমে ধাতব কচ্ছপ রাখলে সম্পদ বাড়ে।
হাঁস
বাস্তু মতে রাজহাঁস দম্পতি মূর্তি বাড়ির গেস্ট রুমে রাখলে আর্থিক উন্নতি হয়। এ হাঁসের যুগল হিসাবে মূর্তি রাখলে বিবাহিত জীবনে প্রেম বজায় থাকে।
টিয়াপাখি
বাস্তু মতে, পড়ার ঘরে টিয়াপাখির ছবি রাখলে মনোযোগ বাড়ে। উত্তর দিকের টিয়াপাখির ছবি পরিবারে সুখ ও শান্তি বয়ে আনার পাশাপাশি বিবাহিত জীবনে মধুরতা বয়ে আনে। ফেং শ্যুই মতে টিয়াপাখি, পৃথিবী, আগুন, জল, কাঠ এবং ধাতুর প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। ঘরে টিয়াপাখির মূর্তি রাখলে আনন্দময় পরিবেশ থাকে এবং সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়।
মাছ
বাস্তু এবং ফেং শ্যুই উভয় মতে, মাছকে সম্পদ এবং শক্তির প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ঘরের উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব দিকে পিতল বা রৌপ্য মাছ রাখলে ঘরে সুখ ও শান্তি বজায় থাকে। এছাড়াও ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়।
গরু
বাস্তুর মতে বাড়িতে পিতল গরুর মূর্তি রাখলে শিশুদের মধ্যে আনন্দের পরিবেশ থাকে। এর সঙ্গে নেগেটিভিটিও চলে যায়। ফেং শ্যু মতে, ঘরে একটি গরুর মূর্তি রাখলে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ে।