প্রত্যেক মাসে দুটি চতুর্থী আসে। যাকে ভগবান শ্রীগণেশের তিথি বলে মনে করা হয়। এই দুটির মধ্যে একটি, যেটি অমাবস্যার পরে শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে আসে, তাকে বিনায়ক চতুর্থী বলে। আর পূর্ণিমার পর যেটা কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীতে আসে, সেটাকে বলে সঙ্কষ্টি চতুর্থী।
ভগবান গণেশকে সমস্ত দেবতার আগে সর্বপ্রথমে পুজো করা হয়। ভগবান গণেশের পুজো করলে বড় বড় বিঘ্ন খুব সহজেই নাশ হয়। সামনেই গণেশ চতুর্থী আসতে চলেছে। যার গোটা দেশ জুড়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
হিন্দু শাস্ত্রে বিনায়ক চতুর্থীর মহিমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পুজো করলে সমৃদ্ধি লাভ হয়। তাই কীভাবে বিনায়ক চতুর্থীতে গণেশের পুজো করবেন এবং কৃপা লাভ করবেন তা জেনে নিন।
কীভাবে করবেন চতুর্থীতে ভগবান গণেশের পুজো?
চতুর্থীর দিন ভোরে উঠে স্নান করে লাল রঙের বস্ত্র ধারণ করে সূর্যকে তামার ঘটে জল অর্পণ করতে হবে।
এরপরে ভগবান গনেশের মন্দিরে একটি জটাওয়ালা নারকেল এবং মোদক প্রসাদ রূপে নিয়ে যেতে হবে।
তাঁকে গোলাপ ফুল এবং দূর্বা অর্পণ করে "ওম গং গণপতয় নমঃ" মন্ত্র ২৭ বার জপ করতে হবে এবং প্রদীপ জ্বালাতে হবে।
দুপুরে পুজোর সময় নিজের ঘরে সামর্থ অনুযায়ী পিতল, তামা, মাটি অথবা সোনার কিংবা রুপোর নির্মিত গণেশ প্রতিমা স্থাপন করতে হবে।
সংকল্পের পরে পুজো করে শ্রী গনেশের আরতি করতে হবে এবং মোদক বাচ্চাদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে হবে।
আটকে থাকা ধন প্রাপ্তির জন্য বিনায়ক গণেশের পুজো করুন
গণেশ চতুর্থীর দিন সকালে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরে গনেশের পুজো করুন।
ভগবান গণেশকে দূর্বা দিয়ে মালা বানিয়ে অর্পণ করুন।
এর সঙ্গে তাঁকে শুদ্ধ ঘি এবং গুড়ের ভোগ দিন। "বক্রতুণ্ডায় হু" মন্ত্র ৫৪ বার জপ করুন।
ধনলাভের প্রার্থনা করুন। কিছুক্ষণ পর ঘি এবং গুড় গরুকে খাইয়ে দিন বা কোনও গরিব মানুষকে দিয়ে দিন। ধন লাভের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
এরকম লাগাতার ৫ বিনায়ক চতুর্থীতে করতে হবে। এমন করলে আপনার যে কোনও আটকে থাকা টাকা-পয়সা পাবেন।
সমস্ত বাধা এবং সংকটনাশ করার জন্য এই উপায় করুন
সকালে উঠে হলুদ বস্ত্র ধারণ করে ভগবান গণেশের সামনে বসুন এবং সামনে গিয়ে চার মুখওয়ালা প্রদীপ জ্বালান।
নিজের বয়সের সমান পরিমাণে লাড্ডু রাখুন এবং একটা একটা করে সমস্ত লাড্ডু ভোগ দিন এবং প্রত্যেক লাড্ডুর সঙ্গে 'গং' মন্ত্র জপ করুন।
এরপরে বাধা দূর করার জপ করুন এবং একটি লাড্ডু নিজে খেয়ে নিন। বাকি লাড্ডুগুলি অন্যদের ভাগ করে দিন।
ভগবান সূর্যনারায়ণের সূর্যাষ্টক, গণেশের সামনে তিনবার পাঠ করুন।