আজ কালীপুজো। সারা বাংলায় আড়ম্বের সঙ্গেই পূজিত হচ্ছেন মা। তবে অন্য সব জায়গার তুলনায় এ দিন তারাপীঠের গুরুত্ব অনেক বেশি। আর এটা সাধারণ মানুষ ভালোই জানেন। তাই এই দিনটায় তারপীঠে মা তারার দর্শনের আশা নিয়ে পাড়ি জমান লক্ষ লক্ষ ভক্ত।
এ দিন একবারে ভোর থেকে শুরু হয়ে যায় পুজোর প্রস্তুতি। মাকে ভোরবেলাতেই স্নান করানো হয়।
তার পর দেবীমূর্তিকে রাজবেশ দেওয়া হয়। পরানো হয় চুনরি। মাকে সাজানো হয় একবারে সিঙ্গারবেশে।
মাকে সাজানো হলে পঞ্চ উপাচারের মাধ্যমে মঙ্গলারতি করা হয়। হয় নিত্যপুজো। এটাই হল নিয়ম।
এ দিন ভোর থেকেই মায়ের জন্য থাকে বিশেষ ভোগের আয়োজন। তাঁকে ভোর বেলাতেই ছোলা, মুড়কি, সরবত, মিষ্টি, ফল, মিছরি ও ছোলা সহযোগে শীতল ভোগ নিবেদন করা হয়।
নিশীথ পুজোর পর মায়ের ভোগ নিবেদন করা হয় বলেই খবর। তাতে থাকে খিচুড়ি, মন্দির চত্ত্বরে বলি দেওয়া পাঁঠার মাংস, মাছ, কারণবারি, পাঁচ রকম ভাজা, পোলাও, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি।
সন্ধ্যারতির পর শীতল ভোগ হয়। সেই ভোজে থাকে লুচি, সুজি, ভাজা পাঁচ রকমের, অনেক ধরনের মিষ্টি।
মাথায় রাখতে হবে, এ দিন অনেক ভক্ত চাইলেই মাকে ভোগ নিবেদন করতে পারেন। তাদের নাম-গোত্র উল্লেখ করে সেই ভোগ নিবেদন করা হয়।
রাতেহবে নিশিপুজো। এই সময়ই মায়ের আরাধনায় বসেন সেখানকার তান্ত্রিকরা। তন্ত্রসাধানা চলে চারিদিকে। এক অপূর্ব মায়াজাল ঘিরে ধরে তারাপীঠকে।