শনিকে কর্মফল দাতা হিসাবে মনে করা হয়। কুণ্ডলীতে শনি শুভ অবস্থানে থাকলে ব্যক্তির যে কোনো কাজ সহজে হয়ে যায়। শনির অশুভ দশা প্রতিটি কাজে বাধা দেয়। তাই অনেকে ভালবেসে , অনেকে আবার ভয়ে ভয়ে শনিদেবের পুজো করেন। বড় ঠাকুরের ভক্তরা বাড়িতে সব দেবদেবীর মূর্তি রাখলেও, শনিদেবের মূর্তি বাড়িতে রাখা শুভ বলে মনে করেন না। কিন্তু কেন, এই প্রশ্ন অনেকেরই মনে।
শনি ঠাকুরের প্রসাদ ঘরে আনতে নেই কেন ?
শনিবার নিয়ম - নিষ্ঠা করে বড় ঠাকুরের মন্দিরে পুজো দিলেও প্রসাদ আনেন না ঘরে। কিন্তু কেন ? পুজোই যদি করা হয়, প্রসাদ আনা হয় না কেন? এর পেছনে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনী। এই কাহিনি অনুসারে শনিদেবকে অভিশাপ দেওয়া হয়েছিল যে তিনি যাঁকে দেখবেন, তাঁর সঙ্গে খারাপ ঘটনা ঘটবে।
পৌরানিক কাহিনী
একবার নাকি শনিদেব ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। তাঁর স্ত্রী বারে বারে ডাকা সত্ত্বেও সাড়া দেননি শনি। তাতে স্ত্রী বড্ড রেগে যান। শনিদেবের স্ত্রী খুবই রুষ্ট হন। বলেন, তুমি আমার দিকে তাকালে না তো? এখন থেকে যার দিকে তাকাবে তারই অমঙ্গল হবে।
শনিদেবের ভক্ত হলেও এটা করবেন না
এই কারণেই বাড়ির মন্দিরে তাঁর মূর্তি না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এমনকী অনেকেই পরামর্শ দেন, যদি কেউ মন্দিরে শনিদেবের পুজো করে থাকেন, তবে বিশেষ খেয়াল রাখুন যাতে সরাসরি তাঁর সামনে না দাঁড়িয়ে পুজো দেন। বিশ্বাস করা হয় যে শনিদেবকে কখনই সরাসরি তাঁর মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে পুজো করা উচিত নয় কারণ এটি অশুভ দৃষ্টি ডেকে আনে। ঠিক এই কারণেই তাঁর প্রসাদও বাড়িতে এনে খাওয়া হয় না।