আগামী ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ইংরাজি ক্যালেন্ডারের ২ জুন ঘরে ঘরে পালিত হবে বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান দিবস। বাঙালি ঘরে ঘরেই বাবা লোকনাথ এদিন পূজিত হন। লোকনাথ বাবাকে সামান্য পুজো দিয়েই তুষ্ট করা যায়। লোকনাথ বাবা ভক্তের সব ধরনের ইচ্ছা পূরণ করেন। ঘরোয়া সাধারণ উপকরণেই সম্পন্ন করা হয় বাবা লোকনাথের পুজো এবং উপাসনা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কচুয়া গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হয়েছিল তাঁর। লোকনাথ দেবের বাবা ছিলেন রামনারায়ণ ঘোষাল আর মা কমলা দেবী। অনেকে মনে করেন বাবা লোকনাথ হলেন স্বয়ং দেবাধিদেব মহাদেবের অবতার। লোকনাথ দেব বরাবরই তাঁর ভক্তদের কাছে খুবই জাগ্রত একজন দেবতা। বাবা লোকনাথ বরাবরই খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন। তাই খুব অল্পতেই সন্তুষ্ট তিনি। তাঁর পুজোয় কোনও বিশেষ আড়ম্বরেরও প্রয়োজন হয় না।
পুজোর শুভ মুহূর্ত
লোকনাথবাবার তিরোধান দিবসে তাঁর পুজো অর্চনা করা হয় তাঁর মন্দির এবং ভক্তদের বাড়িতে। সেদিন পুজোর সর্বোত্তম শুভ মুহূর্ত সকাল ৬.৪৩ মিনিটে এবং তার পর সকাল ৯.২৫ মিনিটে। পুনরায় দুপুর ১২.০৬ মিনিটে এবং ২.৪৭-এ পুজোর জন্য শুভ সময় রয়েছে।
প্রসাদে কী দেবেন
বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর পুজোর প্রসাদে মিছরি মূল উপকরণ। তাঁর প্রসাদে মিছরি অবশ্যই রাখবেন। জানা যায়, পোলাও কিংবা পনির নয়, ভাত, ডাল, চচ্চড়ি বা খিচুড়ি, লাবড়া, চাটনি বা সবরকম সব্জি সেদ্ধ দিয়ে তৈরী ভাত বা বাল্যভোগ তাঁর প্রিয় খাবার।
কোন ফুলে পুজো দেবেন
পুজোর মূল ফুল হতে হবে সাদা রঙের। যে কোনও সাদা ফুল তাঁর পুজোয় দেওয়া যায়। বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর পুজোয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীল শাপলা বা নীল শালুক ফুল। তাঁর চরণে নিবেদন করুন এই ফুল।
মিষ্টান্ন ভোগ
বাবা লোকনাথের মিষ্টি ভোগে তাঁকে নিবেদন করতে পারেন পায়েস, অমৃতি এবং যে কোনও সাদা রঙের মিষ্টি। তাঁকে ফলও ভোগ দিতে পারেন। তাঁর পুজোয় ফলপ্রসাদে অবশ্যই রাখবেন তালশাঁস এবং কালো জাম। এছাড়াও সাজিয়ে দিতে পারেন আম, কালোজাম, লিচু-সহ নানা মরশুমি ফল৷