scorecardresearch
 

Bamakhepa Tarapith : তারা মা-কে নিবেদনের আগেই ভোগ খেয়ে ফেলেছিলেন বামাক্ষ্যাপা, তারপর?

বামাক্ষ্যাপার আসল নাম ছিল বামাচরণ চট্টোপাধ্যায়। ছোট থেকেই মা তারার প্রতি ছিল তাঁর অপার ভক্তি। কখনও তারাপীঠের শ্মশানে, কখনও আবার দ্বারকা নদের তীরে সাধনা করতেন তিনি। শোনা যায়, অন্যান্য মাতৃসাধকদের মতো বামাক্ষ্যাপারও (Tarapith Bamakhepa) জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেশকিছু অলৌকিক কাহিনি। 

Advertisement
তারা মায়ের উপাসক বামাক্ষ্যাপা তারা মায়ের উপাসক বামাক্ষ্যাপা
হাইলাইটস
  • তারাপীঠে মা তারার অবস্থান
  • মায়ের ভক্ত ছিলেন বামাক্ষ্যাপা
  • রইল কিছু অজানা কাহিনি

বাংলার অন্যতম সাধনপীঠ তারাপীঠ। মা তারা এখানকার আরাধ্যা দেবী। আর তারাপীঠের সঙ্গে যাঁর নাম ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত, তিনি বামাক্ষ্যাপা (Bamakhepa)। তিনি ছিলেন মা তারার ভক্ত। আর এই তারাপীঠ ছিল তাঁরই সাধনক্ষেত্র। কেউ কেউ বলেন, দেবীর সবচেয়ে প্রিয় দুই সন্তানের মধ্যে একজন হলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, অপরজন বামাক্ষ্যাপা। 

বামাক্ষ্যাপার আসল নাম ছিল বামাচরণ চট্টোপাধ্যায়। ছোট থেকেই মা তারার প্রতি ছিল তাঁর অপার ভক্তি। কখনও তারাপীঠের শ্মশানে, কখনও আবার দ্বারকা নদের তীরে সাধনা করতেন তিনি। শোনা যায়, অন্যান্য মাতৃসাধকদের মতো বামাক্ষ্যাপারও (Tarapith Bamakhepa) জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেশকিছু অলৌকিক কাহিনি। 

তারাপীঠ মন্দির
তারাপীঠ মন্দির

নাটোরের রানিকে স্বপ্নাদেশ
বামাক্ষ্যাপা নাকি মন্দিরের (Tarapith Mandir) নিয়মকানুন কিছু মানতেন না। যার জেরে মন্দিরের অন্যান্য পান্ডারা তাঁকে খুব একটা পছন্দও করতেন না। একবার দেবীকে ভোগ নিবেদনের আগে,সেটির স্বাদ কেমন বা সেটি নিবেদনের যোগ্য কিনা তা জানতে বামা নিজেই সেই ভোগ চেখে দেখেন। ব্যাস, তাতেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন মন্দিরের অন্যান্য পান্ডারা। তাঁরা বামাকে মারধর করে শ্মশানে ফেলে দিয়ে আসেন। কথিত আছে, সেই রাতেই দেবী নাটোরের মহারানিকে স্বপ্নাদেশ যে, বামাকে যেন মন্দিরে ফিরিয়ে এনে পুজোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। না হলে ভয়ানক ফল ভোগ করতে হবে। সেই নির্দেশ পেয়ে পরেরদিনই মন্দিরে ছুটে যান রানি এবং গোটা ঘটনা শুনে ভর্ৎসনা করেন পান্ডাদের। পাশাপাশি মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয় বামাকেও। শোনা যায়, তারপর থেকে মন্দিরে অবাধেই বিচরণ করতেন বামাক্ষ্যাপা। 

রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ
বাংলার বহু মনীষীদের সঙ্গেও নাকি সাক্ষাৎ হয় বামাক্ষ্যাপার। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda), রবীন্দ্রনাথের মতো ব্যক্তিত্বরাও। শোনা যায়, ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর একবার নাকি বন্ধু শরৎচন্দ্র চক্রবর্তীকে নিয়ে বামাক্ষ্যাপার সঙ্গেও দেখা করতে যান নরেন্দ্রনাথ। সেই সময়, শরৎচন্দ্রকে বামাক্ষ্যাপা বলেছিলেন, 'এই যুবক একদিন ধর্মের মুখ উজ্জ্বল করবে'। আবার চারণকবি মুকুন্দদাসকে নিয়ে একবার নাকি তারাপীঠে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। সেই সময় রবীন্দ্রনাথকে বামাক্ষ্যাপা বলেছিলেন, 'তোর খুব নামডাক হবে'। আর বাস্তবেই দেখা যায় পরবর্তীকালে বিবেকানন্দ বা রবীন্দ্রনাথের নাম ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর কোণায় কোণায়।  

Advertisement

আরও পড়ুন'শুভেন্দুদা আর দিলীপদা ছাড়া সব অযোগ্য, সুকান্তকে নিশানা সৌমিত্রর

 
 

Advertisement