চাণক্য নীতিতে কিছু পরিস্থিতির কথা বলা হয়েছে, যেখানে কখনওই রাগ করা উচিত নয়।Chanakya Quotes on Anger: আচার্য চাণক্য। পণ্ডিত, দক্ষ কূটনীতিক ও অর্থশাস্ত্রবিদ। আচরণ, সম্পর্ক, নীতি ও আত্মসংযম, জীবনের প্রতিটি দিক নিয়েই তিনি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়ে গিয়েছেন। চাণক্য নীতি শুধু শাসনব্যবস্থা বা রাজনীতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। একজন মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করবেন, তার দিশা দেয় তাঁর নীতি। আচার্য চাণক্যের মতে, রাগ মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু(Chanakya Quotes on Anger)। রাগের বশে নেওয়া সিদ্ধান্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরে অনুশোচনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই রাগের মাথায় এমন কাজ করে বসেন, যার খেসারত দীর্ঘদিন ধরে দিতে হয়। সেই কারণেই চাণক্য নীতিতে কিছু পরিস্থিতির কথা বলা হয়েছে, যেখানে কখনওই রাগ করা উচিত নয়।
১) শিশুদের ভুলে
অনেক সময় দেখা যায়, শিশুরা ভুল করলেই বাবা-মা রেগে যান(Parenting Tips Chanakya)। কিন্তু চাণক্য নীতি অনুযায়ী, এই পদ্ধতি সঠিক নয়। শিশুদের রাগ দিয়ে নয়, বরং ভালোবাসা ও ধৈর্য দিয়ে বোঝানো উচিত। বকাঝকা ও ক্রোধ শিশুদের আত্মবিশ্বাস এবং শেখার ক্ষমতা নষ্ট করতে পারে। এমনকি এতে বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যেকার বিশ্বাসও ভেঙে যেতে পারে। শান্তভাবে বোঝানোই শিশুদের সঠিক পথে চালিত করার সবচেয়ে ভালো উপায়।
২) বড়দের উপদেশে
কোনও বড় বা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি যদি আপনাকে বোঝান, তখন তাঁর উপর রাগ করা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে আসে জীবনের সঠিক-ভুল বোঝার ক্ষমতা। চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে, অভিজ্ঞতার সম্মান করা উচিত। বড়দের কথার মধ্যে লুকিয়ে থাকা শিক্ষাটা বোঝার চেষ্টা করুন। রাগ করলে শুধু সম্পর্কের ফাটলই ধরে না, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা থেকেও আপনি বঞ্চিত হন।
৩) প্রতিকূল পরিস্থিতিতে
জীবনে যখন সময় আপনার অনুকূলে থাকে না, খারাপ সময় চলছে এবং চারদিক থেকেই পরিস্থিতি প্রতিকূল মনে হয়, তখন রাগ করা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। চাণক্য নীতি অনুযায়ী, প্রতিকূল অবস্থায় ক্রোধ সমস্যার সমাধান করে না, বরং জটিলতা আরও বাড়িয়ে তোলে। রাগ মানুষের বিচার-বিবেচনার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং ভুল সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দেয়। এই সময়ে সংযম, ধৈর্য এবং শান্ত মনই সবচেয়ে বড় শক্তি।